দুই শক্তির মাঝে বিভ্রান্ত বাকি বিশ্ব
নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটন, ৪ মে: আমেরিকা নাকি চিন— বাণিজ্য সহযোগী হিসেবে আদর্শ কে? এই প্রশ্নে আতান্তরে অবশিষ্ট বিশ্ব!
আমেরিকার সংবাদমাধ্যমে সম্প্রতি দাবি করা হয়, চড়া আমদানি শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বিভিন্ন দেশকে আলোচনার টেবিলে টেনে আনছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। শর্ত দিচ্ছে, চিনের সঙ্গে বাণিজ্য কমাতে হবে। এই খবরের পরে পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে বেজিং জানায়, তাদের স্বার্থ খর্ব করে কোনও দেশ আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করলে তারা মেনে নেবে না। ফলে বিশ্বের বৃহত্তম দুই অর্থনীতির দড়ি টানাটানিতে চাপে বাকিরা। এই অবস্থায় কোনও দেশ নির্দিষ্ট পক্ষ বেছে নেওয়ার আগে জল মাপতে চাইছে। ভারত অবশ্য আত্মবিশ্বাসী। কেন্দ্র বারবারই দাবি করছে, এ দেশের বিরাট বাজার সবার কাছেই আকর্ষণীয়।
সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওয়ং বলেন, ‘‘আমেরিকা ও চিন দু’জনেরই দাবি, তারা পক্ষ নির্বাচনের জন্য বাকি দেশগুলিকে চাপ দিতে চায় না। কিন্তু বাস্তব হল, দু’জনেই বাকিদের নিজেদের বৃত্তে আনতে চাইছে।’’ সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, শুল্ক যুদ্ধের মূল সুরটা ওয়ংয়ের কথাতেই স্পষ্ট। সুইৎজ়ারল্যান্ডের উপরে ৩১% শুল্কের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। সে দেশের প্রেসিডেন্ট সম্প্রতি বৈঠক করেছেন ট্রাম্পের সঙ্গে। বিদেশমন্ত্রী গিয়েছেন চিন সফরে। উদ্দেশ্য পরিষ্কার। ভারসাম্য বজায় রাখা। তৎপর চিনও। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সফর করেছেন ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া এবং মালয়েশিয়ায়। যাদের উপরে যখন-তখন চাপতে পারে আমেরিকার বিপুল শুল্কের বোঝা। আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ় ইনস্টিটিউটের গবেষক হ্যাল ব্র্যান্ডসের কথায়, ‘‘ট্রাম্পের রুক্ষ ব্যবহারের সুযোগ নিয়েই বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক মসৃণ করার চেষ্টা করছে চিন।’’
সংবাদ সংস্থা