লস্কর তদন্তে ওঠে সারগোদার প্রসঙ্গ
শিবাজী দে সরকার
অপারেশন সিঁদুরের দ্বিতীয় পর্যায়ে শুক্রবার রাত থেকে পাকিস্তানের বিভিন্ন বায়ুসেনা ঘাঁটিতে অভিযান চালিয়েছিল ভারতীয় সেনা। এই আবহে আলোচিত হয়েছে পাক-পঞ্জাব প্রদেশের সারগোদা বায়ুসেনা ঘাঁটির কথা। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, এ রাজ্যে লস্কর-ই-তইবা জঙ্গি গোষ্ঠীর মডিউলের তদন্তে নেমে এই পাক বায়ুসেনা ঘাঁটির কথা উঠে এসেছিল। ওই ঘটনায় বসিরহাটের এক তরুণীকে গ্রেফতারের পাশাপাশি সারগোদার বাসিন্দা আয়েশা বুরহান ওরফে আয়েশা সিদ্দিকি এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দা বিলাল দুরানির নামও চার্জশিটে দিয়েছিলেন এনআইএ-র গোয়েন্দারা।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, তদন্তে আয়েশার কিছু ছবি মিলেছিল। তাতে তাকে সামরিক পোশাকে সামরিক বিমানে বসে থাকতে দেখা যায়। তদন্তকারীরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, সেটি সারগোদা বায়ুসেনা ঘাঁটি।
২০২০ সালের মার্চ মাসে উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ায় গ্রেফতার করা হয় স্নাতকের ছাত্রী এক তরুণীকে। প্রথমে রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফ তাকে পাকড়াও করে। পরে তদন্তভার নেয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। ওই তরুণীকে জেরা করে উঠে আসে বহু তথ্য। ওই কলেজ ছাত্রী নিজে পাকিস্তানের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার কাজে উদ্বুদ্ধ হয়ে অনলাইনে তাদের হয়ে কাজ করতে শুরু করেছিল। তাকে জেরা করে গ্রেফতার করা হয় কর্নাটকের বাসিন্দা সৈয়দ ইদ্রিশ এবং কাশ্মীরের বন্দিপুরার বাসিন্দা আলতাফ আহমেদকে। লস্কর-ই-তইবার এই মডিউলের মাথা ছিল কাশ্মীর থেকে ধৃত অঙ্কের শিক্ষক আলতাফ আহমেদ। তাদের কাছ থেকেই আয়েশা সিদ্দিকি এবং বিলালের নাম পাওয়া যায়। তদন্তকারীদের দাবি, সোশ্যাল মিডিয়ায় গ্রুপ তৈরি করে তানিয়ার মতো বহু যুবক, যুবতীকে জেহাদের আদর্শে অনুপ্রাণিত করত তারা। এ ভাবে অনলাইনে জঙ্গিদের নিয়োগ করে মডিউল তৈরি করে ফেলেছিল আয়েশারা। ওই পাঁচ জনের মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হলেও আয়েশা সিদ্দিকি এবং বিলালকে ছুঁতেও পারেনি ভারত।