ইন্দিরার তুলনা টেনে সরব কংগ্রেস
নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি, ১০ মে: ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে জলে-স্থলে এবং আকাশপথে সামরিক অভিযান এবং গোলাগুলি চালানো বন্ধ নিয়ে দ্বিপাক্ষিক ডিজিএমও স্তরে ঐকমত্য হওয়ার পর মাঠে নামল কংগ্রেস। অভিযোগ, আমেরিকার চাপে সংঘাত বিরতিতে রাজি হল কেন্দ্র কিন্তু এখনও পহেলগাম হত্যায় জড়িত জঙ্গিদের ধরা গেল না। এই প্রসঙ্গে মোদীকে নিশানা করে কংগ্রেসের সমস্বর, ‘ইন্দিরা গান্ধী সবাই হন না!’ তবে তখনও সংঘর্ষ বিরতি ভেঙে গুলিগোলা চালায়নি পাকিস্তানের সেনা।
‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর থেকেই সরকারের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়ে গিয়েছে কংগ্রেস-সহ সমস্ত বিরোধী দল। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠক থেকে বেরিয়েও কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, তাঁরা সরকারের কোনও সমালোচনা করতে চান না। এই লড়াইয়ে তাঁরা মোদী সরকারের সঙ্গেই রয়েছেন।
কিন্তু আজ কংগ্রেস ফিরল সমালোচনার রাস্তায়। দলের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশ এক্স হ্যান্ডলে ১৯৭১ সালের ১২ ডিসেম্বর আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনকে ইন্দিরা গান্ধীর লেখা চিঠিটি পোস্ট করে লিখেছেন, এটি ইন্দিরা গান্ধীর ঐতিহাসিক চিঠি। চার দিন পর পাকিস্তান আত্মসমর্পণ করে।’ তাঁর দাবি, ‘ওয়াশিংটন ডিসি-র অপ্রত্যাশিত ঘোষণার পর আগের থেকেও এখন বেশি করে প্রয়োজন প্রধানমন্ত্রীর সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার। গত ১৮ দিন কী কী হল, তা সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা জরুরি।’ কংগ্রেস নেতা পবন খেরা লিখেছেন, ‘ভারত আজ ইন্জিরা গান্ধীর অভাব অনুভব করছে।’ কংগ্রেস মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনাতের পোস্ট, ‘ইন্দিরা গান্ধী হওয়া সহজ নয়!’ পাশাপাশি সমস্ত রাজনৈতিক অবস্থানে কংগ্রেসের বিপরীতে থাকা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষও তাঁর এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, “এটা ঘটনা যে দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীই।’