সরকারি খরচ কমানোর প্রতিশ্রুতি কি রাখা হবে, চর্চা
নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি, ১০ মে: অসমে হিমন্তবিশ্ব শর্মার সরকারের চার বছর এবং বিজেপি জোট সরকারের নয় বছর পূর্ণ হল ১০ মে। কিন্তু যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে এ দিন কোনও উৎসব বা উদযাপন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত আগেই ঘোষণা করেছিল বিজেপি। সংঘর্ষবিরতির ঘোষণা তখনও হয়নি। তার আগে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বলেন, ‘‘সরকার আলোচনাচক্র, অনুষ্ঠান এবং বিদেশভ্রমণের ব্যয় সাময়িক ভাবে কমিয়ে আনবে। আপাতত কোনও মন্ত্রী-আমলা বিদেশ সফর করবেন না। বড় ধরনের সরকারি ব্যয় বন্ধ রাখা হবে। ভারত এবং পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতির পর রাজ্য সরকার এখন খরচে এই কাটছাঁট বজায় রাখবে কি না, সেটাই দেখার।
হিমন্ত এ-ও আজ বলেন, ‘‘আগামী কাল পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরেও দল বা প্রার্থী নির্বিশেষে কেউ বিজয় সমাবেশ করতে পারবে না।’’ ফলে সংঘর্ষবিরতির পর বিজয় উৎসব হবে কি না, সে দিকেও নজর থাকবে।
আজ মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, রাস্তায় হোর্ডিংগুলি সরকারের পরিকল্পনা এবং সাফল্যের কথা প্রচার করার পরিবর্তে, দেশাত্মবোধক স্লোগান প্রচার করা হবে। সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটিতে যাওয়ার সময় ফোন নম্বর এবং ব্যক্তিগত বিবরণ জমা দিতে হবে। সরকার রক্তদান শিবির পরিচালনা করবে। জেলাশাসকদের
অপারেশন সিঁদুরে অংশগ্রহণকারী সব সৈনিকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকার তাদের সব ধরনের সহায়তা দেবে। তাই, প্রতিটি এলাকায় সেনা
সদস্যের সংখ্যা চিহ্নিত করার জন্য একটি তালিকা তৈরি করা হবে। এ ছাড়া, রেশন কার্ডের চাল তিন মাসের জন্য অগ্রিম বিতরণ করা হবে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এই সব কর্মসূচির বদল হবে কি না, তা নিয়ে চর্চা চলছে।
হিমন্ত এ দিন, গুয়াহাটি, হাজো, শুয়ালকুচি, রঙ্গিয়া ও বাইহাটা চারিয়ালিতে পাইপবাহী প্রাকৃতিক গ্যাস প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। বরাক উপত্যকায় সর্বপ্রথম সিএনজি স্টেশনেরও ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ছাড়া, মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত, ‘মুখ্যমন্ত্রীর জীবন প্রেরণা’ প্রকল্পে ২০২৪-২৫ সালে স্নাতক হওয়া শিক্ষার্থীরা ২,৫০০ টাকা করে পাবেন। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণারত শিক্ষার্থীদের প্রত্যেককে এককালীন ২০,০০০ টাকা ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ৪০,০০০ করে টাকা দেওয়া হবে।
পাশাপাশি মন্ত্রিসভা ‘একটি কলি দুটি পাতা’ নামে প্রকল্প অনুমোদন করেছে, যার মাধ্যমে অসম চায়ের ২০০ বছর উপলক্ষে চা বাগানগুলির স্থায়ী ও অস্থায়ী শ্রমিকদের সকলকে ৫০০০ টাকা করে এককালীন সহায়তা প্রদান করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী আরও ঘোষণা করেন, ডিব্রুগড় বিমানবন্দর ভারতরত্ন ভূপেন হাজারিকার নামে নামাঙ্কিত করা হবে।