ছুটছে ক্ষেপণাস্ত্র, হঠাৎ এসে পড়ে যাত্রী-বিমান
পহেলগামে জঙ্গি হামলার প্রত্যাঘাতে মঙ্গলবার মাঝরাতে কার্যত যুদ্ধভূমিতে পরিণত হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন আকাশসীমা। ভারতীয় বায়ুসেনার মিসাইল হামলা, পাক সেনার প্রত্যাঘাত— সব মিলিয়ে আকাশ হয়ে উঠেছিল বিপদসঙ্কুল। ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরে পাকিস্তানের প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় যখন চরম সতর্ক ভারতীয় বায়ুসেনা, তখনই ভোররাতে ওই বিপজ্জনক আকাশসীমার রেডারে ধরা পড়ে এক যাত্রিবাহী বিমান। পাকিস্তানের আকাশসীমা দিয়ে প্রবেশ করে ক্রমশ ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমানার দিকে এগোতে দেখা যায় বিমানটিকে। জানা যায় উড়ানটি ইথিয়োপিয়ান এয়ারলাইন্স-এর। আদ্দিস আবাবা থেকে সোল-এ যাচ্ছিল। সব বিমান যখন ভারত-পাক পশ্চিম সীমান্ত এড়িয়ে যাচ্ছে, তখন হামলার একটু পরেই ওই বিমান দেখে চরম উদ্বেগ তৈরি হয় সব মহলেই। কয়েক মিনিটের দীর্ঘ উদ্বেগ শেষে আন্তর্জাতিক সীমান্তের উপর দিয়ে বিপদসীমার বাইরে চলে যায় ওই যাত্রী-ভর্তি উড়ান। হাঁপ ছাড়েন সব পক্ষই।
অম্ল-মধুর
রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় প্রায়ই সংসদের অধিবেশনের সময় জয়রাম রমেশের উপরে চটে যান। জয়রাম রাজ্যসভায় কংগ্রেসের সংসদীয় দলের মুখ্য সচেতক। তিনি উঠে কিছু বলতে গেলেই চেয়ারম্যান ধনখড় তাঁকে ‘মিস্টার জয়রাম রমেশ’ বলে শাসন করতে শুরু করেন। রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবেও জয়রামের সক্রিয় ভূমিকা ছিল। তবে দু’জনের ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুবই মধুর। জয়রাম মাসে দু’বার উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে গল্পগুজব করতে যান। এপ্রিলে জয়রাম ৭১-এ পা দিয়েছেন। জন্মদিনে জয়রামকে উপরাষ্ট্রপতি দামি ঝর্না কলম উপহার দিয়েছেন। জয়রামের বুকপকেটে এখন সেই কলম। তবে আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভান্স সম্প্রতি এলেও তাঁর সফরসূচিতে ভারতের উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক বা দেখাসাক্ষাৎ ছিল না। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে।
নতুন বিচারপতি
সুপ্রিম কোর্টের নতুন প্রধান বিচারপতি হতে চলেছেন ভূষণ রামকৃষ্ণ গাভাই। মহারাষ্ট্রের এক দলিত পরিবার থেকে উঠে আসা বিচারপতি গাভাই সুপ্রিম কোর্টে পরিচিত তাঁর রসবোধের জন্য। আইনজীবীদের সঙ্গে রসিকতা করে তাঁর হাত দিয়ে মুখ ঢেকে হাসতে থাকার দৃশ্য প্রায়ই এজলাসে দেখা যায়। কিছু দিন আগে সুপ্রিম কোর্টে কপিল সিব্বল একটি রাজ্যের হয়ে সওয়াল করছিলেন। সিব্বল বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। বিচারপতি গাভাই তাঁকে কটাক্ষ করে বললেন, “আপনি মশাই নানা রাজ্যের হয়ে মামলা লড়েন। এক-এক রাজ্যের হয়ে এক-এক রকম যুক্তি পেশ করেন।” সিব্বল খোঁচা খেয়ে হাসতে হাসতে বললেন, “অবাক হওয়ার কিছু নেই। বিচারপতিরাও এক-এক মামলায় এক-এক রকম রায় দেন!”
সিংহ রাজপুত্র
বিরল ঘটনা বললেও কম বলা হয়। প্রায় ১৬ বছর পরে দিল্লির চিড়িয়াখানায় এক সঙ্গে চারটি সিংহশাবকের জন্ম হয়েছে। জন্মদাত্রী মা মহাগৌরী। বাবা গুজরাত চিড়িয়াখানা থেকে দিল্লিতে আসা মহেশ্বর। কিন্তু দু’-এক দিনের মধ্যে দুই শাবকের মৃত্যু হয়েছে। এখন বাকি দুই সিংহছানাকে বাঁচানোর জন্য মরিয়া লড়াই চলছে। বিশেষত একটি ছানাকে তার মা মোটেই যত্ন করছে না। তাই দেখে চিড়িয়াখানার পশু-চিকিৎসকরাই পুরো দায়িত্ব নিয়েছেন সিংহছানাটির। তাকে পশু-হাসপাতালের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত ঘরে রেখে, প্রতি দু’ঘণ্টা অন্তর বিশেষ দুধ খাইয়ে চাঙ্গা করার চেষ্টা হচ্ছে। ডাক্তারদের আশা, জন্মের পর থেকেই দুর্বল সিংহশাবক যত্নে খুব তাড়াতাড়ি সাড়া দেবে।
আক্রমণাত্মক
মহারাষ্ট্রে শিবসেনার নেতা সঞ্জয় রাউতকে সবাই ঠোঁটকাটা বলেন। রেয়াত করে কথা বলার অভ্যাস শিবসেনার মুখপত্র সামনা-র সম্পাদকের নেই। পহেলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলার পরে মোদী সরকারের সর্বদলীয় বৈঠকে তিনি যাননি। প্রবীণ শরদ পওয়ারকে বলেছেন, বাকি বিরোধীরা সরকারের পাশে থাকার বার্তা দিলেন ঠিকই, কিন্তু তিনি গেলে দাবি করতেন যে, এত বড় ঘটনায় প্রশাসনিক দায় গ্রহণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে অমিত শাহের অপসারণ হোক। পওয়ার কথা বাড়াননি। নিজের অবস্থান থেকেও সরেননি। প্রসঙ্গত, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর জন্য নরেন্দ্র মোদীকে ফোনে তিনি ব্যক্তিগত অভিনন্দন জানিয়েছেন।
অনমিত্র সেনগুপ্ত, প্রেমাংশু চৌধুরী
উড়ান: ইথিয়োপিয়ান এয়ারলাইন্স-এর একটি যাত্রিবাহী বিমান
রাজা: সিংহশাবকের সৌন্দর্য