চাপেই রাখতে হবে পাকিস্তানকে
আমেরিকার চাপে পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু সে দেশের ভারত-বিরোধী ও জঙ্গি সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার নীতি বদলাবে বলে আমি মনে করি না। ফলে পাকিস্তানের উপরে চাপ অব্যাহত রাখতে হবে।
আমার মনে হয়, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মধ্যে জেনারেল জিয়া উল হকের ইসলামি মৌলবাদী ভাবনার প্রভাব এখনও রয়েছে। তারই প্রতিফলন হয়েছে পহেলগাম কাণ্ডে। পাকিস্তানের পাশাপাশি কৌশলগত দিক থেকে বাংলাদেশের কথাও মাথায় রাখতে হবে দিল্লিকে। কারণ, বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তন হয়েছে। প্রভাব বেড়েছে উগ্রপন্থার। ফলে তা আমাদের কাছে অত্যন্ত উদ্বেগের। দীর্ঘমেয়াদে প্রথাগত যুদ্ধের চেয়ে কম তীব্রতার (লো ইনটেনসিটি ওয়ারফেয়ার) চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে ভারতকে।
বর্তমান লড়াইয়ে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। মনে রাখতে হবে ভারত ড্রোন তৈরির ক্ষেত্রে খুব বেশি এগোয়নি। ড্রোন খুবই দামি অস্ত্র। এই ধরনের সংঘাত দীর্ঘদিন ধরে চললে ভারত সমস্যায় পড়তে পারে। অবশ্য পাকিস্তানও ড্রোন তৈরির ক্ষেত্রে এগোয়নি। তারাও তুরস্কের তৈরি ড্রোন ব্যবহার করছে। ইসলামি মৌলবাদী ভাবনার শরিক তুরস্ক। তাই তাদের সঙ্গে পাকিস্তানের কৌশলগত মৈত্রী এখন যথেষ্ট বেশি।
তবে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে পরমাণু যুদ্ধের কোনও সম্ভাবনা আছে বলে মনে করি না।
অনুলিখন: অনঘ গঙ্গোপাধ্যায়