বাঁকা পথে কোটি কোটি ঋণ, ধৃত বৃদ্ধ ব্যাঙ্ককর্তা
নিজস্ব সংবাদদাতা
প্রায় সাড়ে ছ’হাজার কোটি টাকার ব্যাঙ্ক জালিয়াতির মামলায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্তাকে গ্রেফতার করল ইডি। শুক্রবার সুবোধ গয়াল নামে ওই ব্যাঙ্ককর্তাকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার তাঁকে সিবিআই বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক তাঁকে ২১ মে পর্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
সুবোধ এখন অবসরপ্রাপ্ত। ইডির দাবি, ইস্পাত ও সিমেন্ট প্রস্তুতকারী একটি সংস্থার কর্ণধার সঞ্জয় সুরেখাকে অভিযুক্ত ব্যাঙ্ককর্তা বেআইনি পথে ১৪৬০ কোটি টাকা ঋণ পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। এর মধ্যে কলকাতার ব্যাঙ্কও ছিল।
সুবোধের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, “সঞ্জয়কে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছুই নিয়ম মানা হয়নি। প্রয়োজনীয় নথি এবং কাগজপত্র পরীক্ষা না করেই ঋণ পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। ঋণ পাইয়ে দেওয়া বাবদ সুবোধ লাভবান হয়েছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
ইডির দাবি, নানা রকম জাল মাধ্যমে একাধিক সরকারি ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ৬৬০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন সঞ্জয়। স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে মামলা দায়ের করে সিবিআই। এর পরে ঘটনার তদন্তে নামে ইডি। কয়েক মাস আগে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অভিযোগে সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে ইডি। সঞ্জয় এখন জেল হেফাজতে রয়েছেন। ব্যাঙ্ক ঋণের কোটি কোটি টাকা তিনি বিভিন্ন সংস্থা খুলে সরিয়ে ফেলেন বলে অভিযোগ তদন্তকারী সংস্থার। নিজের পরিবারের লোকজন ও কর্মচারীদের নামে সংস্থা খোলা হয়েছিল বলে দাবি তদন্তকারীদের।
জামিনের আবেদন করে সুবোধের আইনজীবীরা বলেন, “তাঁর বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যা রয়েছে। তিনি গুরুতর স্নায়ুরোগেও আক্রান্ত। হুইলচেয়ারে চলাফেরা করেন। তাঁকে ও তাঁর পরিজনকে একাধিক বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অত এব তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হোক।” পাল্টা ইডির আইনজীবীরা বলেন, “দিল্লির রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালের চিকিৎসকেরা সুবোধের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন। ডাক্তারেরা জানিয়েছেন তিনি হাঁটাচলা করতে সক্ষম।”