ইস্তফা ১৩ আপ কাউন্সিলরের
}} দিল্লিতে বড় বিপাকে পড়ল আম আদমি পার্টি (আপ)। ১৩ জন কাউন্সিলর একসঙ্গে দল থেকে পদত্যাগ করলেন আজ। বিদ্রোহী আপ নেতাদের তালিকায় মুকেশ গয়ালও রয়েছেন। সূত্রের খবর, মুকেশের নেতৃত্বেই আজ দল ছাড়েন বাকি নেতারা। তাঁরা জানান, অন্য কোনও দলে যাচ্ছেন না। বরং নতুন দল তৈরি করেছেন। নাম, ইন্দ্রপ্রস্থ বিকাশ পার্টি। নেতৃত্ব দেবেন মুকেশ। ২০২১ সালে কংগ্রেস থেকে আপে যোগ দেন মুকেশ। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে গয়াল আদর্শ নগর থেকে আপের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। কিন্তু বিজেপির রাজকুমার ভাটিয়ার কাছে তিনি ১১ হাজার ভোটে হেরে যান। অন্য দিকে, পদত্যাগ করা বাকি নেতারা গত দিল্লি পুরসভা নির্বাচনের আগেই কংগ্রেস থেকে আপে এসেছিলেন। টিকিট পেয়ে তাঁরা পুরসভা ভোটে লড়েন এবং জেতেনও। আপ থেকে পদত্যাগের পরে সংবাদমাধ্যমকে মুকেশ গয়াল বলেন, “২০২২ সালে আমরা বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলাম। মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে ২৫০ আসনের মধ্যে ১৩৫ আসন আমাদের ছিল। কিন্তু সেই আসন ক্রমশ কমতে থাকে। আড়াই বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছি। কিন্তু দিল্লির মানুষের উপকারে কাজ করতে পারছিলাম না। কোনও বাজেট বরাদ্দ হচ্ছিল না।”
মাকে খুন কিশোরীর
}} শুধু একটি মোবাইল ফোন, তাতেই ফাঁস হয়ে গেল খুনের পরিকল্পনা। আত্মীয়েরা জানতেন, হৃদ্রোগে মৃত্যু হয়েছে ওড়িশার রাজলক্ষ্মী করের। তাঁর ১৩ বছরের পালিতা কন্যা দিয়েছিল সেই খবরই। কিন্তু অসাবধানে ভুবনেশ্বরে মামার বাড়িতে নিজের ফোনটি ফেলে যাওয়ায় দু’সপ্তাহ পরে প্রকাশ্যে এল সত্য। প্রেমে বাধা দেওয়ায় মাকে দুই সঙ্গীর সাহায্যে খুন করেছে সে। মৃতার ভাই শিব প্রসাদ মিশ্র ভাগ্নির ফোনে খুনের পরিকল্পনা দেখে পুলিশে অভিযোগ করেন। এই ঘটনায় ওই কিশোরীকে আটক এবং তার দুই সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত দুই সঙ্গীর নাম গণেশ রথ (২১) এবং দীনেশ সাহু (২০)। গত ২৯ এপ্রিল ঘটনাটি ঘটে ওড়িশার গজপতি জেলার পরলাখেমুন্ডি শহরে। পুলিশ জানিয়েছে, রাজলক্ষ্মীকে প্রথমে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়, তার পর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। ১৪ বছর আগে রাস্তার ধারে পড়ে থাকা তিন দিনের এই শিশুকন্যাকে বুকে করে এনে বড় করছিলেন রাজলক্ষ্মী।
স্ত্রীর দেহ কেটে
}} পণ দেওয়া নিয়ে স্ত্রীকে চাপ দিচ্ছিল সে। সেই রাগে স্ত্রীকে খুনও করে সে। তার পর প্রমাণ লোপাট করতে স্ত্রীর দেহ অসংখ্য টুকরো করে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দেয় ৩১ বছর বয়সি এক যুবক। উত্তরপ্রদেশের শ্রাবস্তীর ঘটনা। অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যুবকের নাম সইফুদ্দিন। পুলিশ জানিয়েছে, গত সপ্তাহে ২৫ বছরের স্ত্রী সাবিনাকে নিয়ে লখনউ যাচ্ছিল সে। তখনই স্ত্রীকে হত্যা করে তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে কাটে সে। কিছু টুকরো খালের জলে ফেলে। আর কিছু টুকরো শ্রাবস্তীর ১০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে সে। ঘটনা জানাজানি হয় ১৪ মে। সাবিনার ভাই সালাউদ্দিন বোনকে ফোন করে পাননি। তিনি বোনের শ্বশুরবাড়িতে যান। শোনেন তাঁরা লখনউ গিয়েছেন। যদিও সন্ধ্যায় ওই এলাকাতেই বোনের বরকে দেখতে পান। এর পরেই তিনি পুলিশে খবর দেন।