রিয়্যালিটি শোয়ের
পুরস্কারে কি মিলবে নাগরিকত্ব
ওয়াশিংটন ডিসি, ১৭ মে: ‘আপনিই কি সেরা অভিবাসী? তবে পুরস্কারে মিলবে আমেরিকার নাগরিকত্ব!’ আমেরিকায় অভিবাসন আইন নিয়ে কড়াকড়ি যখন বেড়েই চলেছে, তখন টেলিভিশনে এমনই এক ধরনের অনুষ্ঠান নিয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়েছে।
অনুষ্ঠানের নাম ‘দ্য আমেরিকান’। অনুষ্ঠানটির বিষয়বস্তু নিয়ে যিনি ভাবনা-চিন্তা করছেন, সেই রব ওরসফ আমেরিকার একটি প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, এই রিয়্যালিটি শোয়ের মাধ্যমে পরীক্ষা করে দেখা হবে ‘কে কতটা আমেরিকান।’ বছর ৪৯-এর রব কানাডায় জন্মেছিলেন, তবে বর্তমানে তিনি আমেরিকার নাগরিক। রব জানিয়েছেন, নিজের নাগরিকত্বলাভের প্রক্রিয়ার দরুণ এই অনুষ্ঠান নিয়ে ভাবনা এসেছিল তাঁর মাথায়। তাঁর মতে, এর মাধ্যমে আরও ভাল ভাবে বোঝা যাবে আমেরিকার নাগরিক বলতে আসলে ঠিক কেমন হওয়া উচিত ও তা হওয়া যে কতটা ‘গর্বের’।
কী থাকবে এই অনুষ্ঠানে? যে সংস্থার সঙ্গে রব যুক্ত, সেটির মুখপাত্র ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন জানিয়েছেন, ‘আমেরিকান হওয়াকে উদ্যাপন করতে চায় এই অনুষ্ঠান।’ ফলে এমন সব খেলা রাখা হবে, যা আমেরিকার বিভিন্ন জায়গায় খেলা হবে। কখনও সান ফ্রান্সিসকোর কোনও খনি থেকে সোনা জোগাড় করতে হতে পারে, কখনও আবার কানসাসের কোনও এলাকায় ঘোড়ার পিঠে চড়ে চিঠি বিলি করতে হতে পারে। কিছুটা কঠিন পরীক্ষা হিসেবে টেক্সাস ও ফ্লরিডাতে নাসার নাম আরও উজ্জ্বল করা কিংবা রকেটের বিভিন্ন অংশকে একত্রিত করে তা উৎক্ষেপণের যোগ্য করার মতো কাজও করতে হতে পারে। কেউ জিততে না পারলে অবশ্য কোনও শাস্তি দেওয়া হবে না, এ নিয়েও আশ্বস্ত করেছেন রবরা। প্রসঙ্গত, ‘ডাক ডাইনাস্টি’ ও ‘দ্য মিলিয়নেয়ার ম্যাচমেকার’ নামে দু’টি অনুষ্ঠান প্রযোজনা করেছেন রব।
এখনও এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। অনুমোদন দেওয়া নিয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্তও জানানো হয়নি। তবে আমেরিকায় যে রিয়্যালিটি শোয়ের মাধ্যমে নাগরিকত্ব দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে, তা সম্ভবত বিশ্বে এই প্রথম। ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যখন অভিবাসন আইন নিয়ে প্রবল কড়াকড়ি করছে, তখন এই অনুষ্ঠানের ভাবনাও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে। ফলে এই অনুষ্ঠানের অনুমোদন আদৌ মিলবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
এ দিকে, ১৭৯৮ সালের ‘এলিয়েন এনিমিজ় অ্যাক্ট’-এর ভিত্তিতে উত্তর টক্সাস থেকে ভেনেজ়ুয়েলার এক দল অভিবাসীকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই আইনের ব্যবহারে খুবই দ্রুত (মাত্র ২৪ ঘণ্টার নোটিসে) অভিবাসীদের আমেরিকা থেকে সরিয়ে দেওয়া যায়। এর আগে একাধিক বার এই আইন ব্যবহারের ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। তবে আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও মানুষকে দেশ থেকে সরিয়ে দেওয়ার আগে সব রকমের আইনি দিক খতিয়ে দেখা জরুরি। তাতে সময় বেশি লাগলেও তা মানিয়ে নিতে হবে। সংবাদ সংস্থা