বাধা বয়স, এসএসসি থেকে ছিটকে গেলেন বহু বঞ্চিত
আর্যভট্ট খান
বয়সের ছাড় শুধু মাত্র ২০১৬-র এসএসসির প্যানেলের চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকারাই পাবেন। এসএসসির নতুন পরীক্ষার এই বিধিতে মাথায় হাত ২০১৬-র পরীক্ষার বেনিয়মের কথা তুলে ধরে আন্দোলনে নামা, বঞ্চিত বা প্যানেলে অপেক্ষমান বহু শিক্ষক, শিক্ষিকাও। তাঁদের অসহায় ক্ষোভ, নতুন বিধিতে বয়সের ছাড় না দিলে তাঁরা আর নতুন করে এসএসসি পরীক্ষায় বসতেই পারবেন না।
ওই চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, দুর্নীতি না হলে তাঁরাও হয়তো শিক্ষকতার চাকরি পেতেন। দুর্নীতির জন্য তাঁরা বঞ্চিত হলেন আবার নতুন করে যখন এসএসসির পরীক্ষা হচ্ছে তখন বয়স পেরিয়ে যাওয়ায় তাঁরা আর সুযোগই পাচ্ছেন না। এটা অবিচার! ওই সব চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ২০১৬ সালের বিধিতেই ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষা নিতে হবে। এবং ২০১৬ সালে শিক্ষকতার জন্য যত চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছিলেন, তাঁদের সবাইকেই বসতে দিতে হবে। নতুন বিধিতে বলা হয়েছে, ২১ থেকে ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। বয়সের ছাড় পাবেন শুধু ২০১৬ সালের যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষকরা। সরকারি একটি সূত্রের দাবি, তাঁরা যা করেছেন, তা সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনেই করেছেন।
মালদহের এক চাকরিপ্রার্থী মতিউল রহমান জানান, তাঁর এখন ৪৪ বছর বয়স। তিনি বলেন, ‘‘আমি যখন আবেদন করেছিলাম তখন বয়স ছিল ৩৪ বছর। আমার একাদশ দ্বাদশে রসায়নে অপেক্ষা তালিকায় ছ’নম্বরে নাম ছিল। নতুন বিধি অনুয়ায়ী বয়স পেরিয়ে গিয়েছে বলে আমি আর পরীক্ষায় বসতেই পারব না। গত দশটা বছর নিয়োগের দাবিতে ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির নীচে আন্দোলন করে কেটে গিয়েছে। তাতে কী পেলাম? আমার তো সব শেষ হয়ে গেল। আমার প্রশ্ন নতুন বিধিতে কেন শুধুমাত্র যোগ্য চাকরিহারারা বয়সের ছাড়ের সুযোগ পাবেন?’’
মতিউল জানাচ্ছেন, ২০১৬ সালে নবম থেকে দ্বাদশে প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষের মতো চাকরিপ্রার্থী শিক্ষকতার