প্রাক্তনরা নিয়ে যান বাসব-ডেরায়
দন্তেওয়াড়া: বাসবরাজু পর্যন্ত পৌঁছনোর পথ কি তবে তাঁর প্রাক্তন সঙ্গীরাই তৈরি করে দিয়েছিলেন?
সঞ্জু মাণ্ডবী ও সন্নু কোটাম ঘরোয়া আড্ডায় বসে যা বলছিলেন, তার থেকে এমনই ইঙ্গিত সামনে চলে আসে।
অবুঝমাঢ়ে যখন পৌঁছলাম, আকাশের মুখ ভার। অবুঝমাঢ়ের মনের মধ্যেও এমন মেঘ জমে আছে কি না, নারায়ণপুর পুলিশের দেওয়া গার্ড রেলের সামনে দাঁড়িয়ে বুঝতে চেষ্টা করছিলাম। কারণ, সেই মনের সামান্য আঁচ না পেলে ‘লাল-গড়’ কোহকামেটা, কচ্চাপালের মতো গ্রামগুলির দিকে এগোনো যাবে না। ঢোকা যাবে না, দূর থেকে দেখতে পাওয়া জঙ্গলেও।
সঞ্জু, সন্নুরা বলছিলেন, এমনই কোনও জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে চলা পথ ধরেই ‘হয়তো’ এগিয়েছিল বাহিনী। কথায় কথায় তাঁরা ‘হয়তো’ রেখে যাচ্ছিলেন। কারণ, বাসবরাজুকে খুঁজতে যাওয়ার পথ সরাসরি বাতলে দিতে নারাজ ওঁরা, এখনও। সেই দলটিতে ছত্তীসগঢ় পুলিশের ‘ডিস্ট্রিক্ট রিজ়ার্ভ গার্ড’ (ডিআরজি) ও বস্তার ফাইটার্স-এর সদস্যরা ছিলেন। সঞ্জু ও সন্নু ডিআরজি-র সদস্য।
বাসবরাজুর সংঘর্ষ নিয়ে এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে চাননি সঞ্জু। তবে জানিয়েছেন, “আমরা এলাকা ঘিরে ফেলেছিলাম, গোল করে। শতাধিক ডিআরজি ও বস্তার ফাইটার্সও অভিযানে ছিল।”
অর্থাৎ, প্রাক্তন মাওবাদীদেরই একাংশকে নিয়ে বাসবরাজুকে খুঁজতে বার হয়েছিল নিরাপত্তা বাহিনী। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে যাকে ‘কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা’ বলেই ব্যাখ্যা
করা হচ্ছে।
এই প্রাক্তন ‘কাঁটা’রা কেন যোগ দিয়েছিলেন মাওবাদীদের দলে? কেনই বা সেখান থেকে ফিরে এলেন সাধারণের জীবনে? বস্তুত, এর জবাবের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে মাওবাদীদের উত্থান ও কার্যত
পতনের রহস্য।
সঞ্জু বলছিলেন তাঁর বাড়ির কথা। বিজাপুর জেলায় পালাগুড়া গ্রামে থাকতেন তিনি। পমেড় থানা। মাত্র ১৬ বছর বয়সে মাওবাদী সংগঠনে যোগ দেন। সেটা ২০১১ সাল। দীর্ঘদিন অ্যাকশন স্কোয়াডে ছিলেন।