শাহকে নিশানা
তৃণমূলের তিন
মহিলা মুখের
নিজস্ব সংবাদদাতা
পাকিস্তানে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’কে সামনে রেখে রাজ্যে এসে নারীশক্তির আবেগকে উস্কে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এ বার শাহকে জবাব দিতে রবিবার দলের তিন মহিলা মুখ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, কাকলি ঘোষ দস্তিদার এবং সাগরিকা ঘোষকে সামনে রাখলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটে ‘হিংসা’, অপারেশন সিঁদুর-সহ নানা বিষয়ে এ দিন শাহকে নিশানা করে তাঁর পদত্যাগ চেয়েছেন চন্দ্রিমারা।
শাহকে তৃণমূল ভবন থেকে জবাব দিয়েছেন মহিলা তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী তথা মন্ত্রী চন্দ্রিমা, লোকসভায় দলের উপ-নেত্রী সাংসদ কাকলি ও রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা। শাহ বাংলার ভোটে হিংসা নিয়ে সরব হওয়ার পাশাপাশি ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জয় হবে বলে মন্তব্য করেছেন। চন্দ্রিমার পাল্টা তোপ, “ভোট করাবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তা হলে সেই ভোটে হিংসা হলে তার দায় কার? আপনারা জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে জোর জবরদস্তি করতে চাইছেন।” কাকলির সংযোজন, “২০২৬-এ ২৫০ আসন নিয়ে তৃণমূল ফের ক্ষমতায় আসবে। মুখ্যমন্ত্রী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপনি হুঙ্কার ছাড়লেন ওরাং-ওটাংয়ের মতো! এই ভাবে ভোট হয় না। মানুষের জন্য কিছু করতে হয়।”
অনুপ্রবেশ প্রশ্নে রাজ্য সরকারের ভূমিকা ও ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে মমতার বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অনুপ্রবেশ বন্ধের দায়িত্ব যে শাহেরই মন্ত্রকের অধীনে থাকা বিএসএফের, তা মনে করিয়ে দিয়ে পাল্টা চন্দ্রিমার দাবি, “আপনি ব্যর্থ, পদত্যাগ করা উচিত।” পহেলগামের জঙ্গি-হামলা নিয়ে আগাম কেন কোনও তথ্য ছিল না, তা নিয়েও প্রশ্নও করেছেন চন্দ্রিমা। মোদীকে নিশানা করে মমতা ‘সিঁদুর বিক্রি’র অভিযোগ করেছিলেন। সেই সুরেই শাহকেও চন্দ্রিমার কটাক্ষ, “আমাদের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের প্রতিনিধি হয়ে পাঁচটি রাষ্ট্রে ঘুরে যখন এক সুরে কথা বললেন, তখনই এখানে এসে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে মেয়েদের সঙ্গে অপমানসূচক খেলা খেলতে হল? মেয়েদের কাছে অতিপবিত্র সিঁদুরকে রাজনীতির বাজারে বিক্রি
করতে চাইছেন।”
তৃণমূলের কাঁথি পুরসভার পুর-প্রতিনিধি তথা প্রাক্তন পুরপ্রধান সুবল মান্না অবশ্য এ দিন বিজেপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শাহের সভায় এসেছিলেন। কাঁথির প্রাক্তন সাংসদ শিশির অধিকারীকে প্রণামের পরেই সুবল দলের বিরাগভাজন হয়েছিলেন। বিজেপিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে সুবল যোগ না দিলেও তাঁর দলবদল নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে কাঁথিতে। সুবলের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পীযূষকান্তি পন্ডার বক্তব্য, “উনি অনেক আগেই বিজেপিতে
চলে গিয়েছেন।”