‘সময় শেষ’, হুঙ্কার শাহের
প্রসঙ্গও। তাঁর বক্তব্য, “মুর্শিদাবাদে ক’দিন আগে হিংসা হল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বারবার বলেছিল বিএসএফ আনার জন্য। কিন্তু রাজ্য সরকার বিএসএফ চায়নি। কারণ, বিএসএফ এলে হিন্দুরা রক্ষা পেত। আমাদের কর্মীরা হাই কোর্টে যাওয়ার পরে
বিএসএফ আসে।”
তৃণমূলের আমলে দুর্নীতির বিষয়েও শাহ মমতাকে আক্রমণ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, “মমতাদিদি’র শাসনে এসএসসি-দুর্নীতি, গরু চুরি, লটারি, কয়লা, ১০০ দিনের কাজ, আবাস, রেশন, মিড-ডে মিল, কেন্দ্রীয় অনুদান, পুরসভার নিয়েগ-সহ বহু দুর্নীতি হয়েছে। বাংলার মানুষের হাজার হাজার কোটি টাকা তৃণমূলের সিন্ডিকেটে গিয়েছে।” তাঁর সংযোজন, “কলকাতার রাস্তায় যোগ্যদের চাকরি বিক্রি হয়েছে। আর তৃণমূলের নেতাদের বাড়ি থেকে এত টাকা পাওয়া যায় যে, গুনতে গুনতে মেশিন খারাপ হয়ে যায়, কিন্তু টাকার পরিমাণ শেষ হয় না!”
সম্প্রতি মোদী সভা করে যাওয়ার পরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা আক্রমণ করেছিলেন। তারও জবাব দিয়েছেন শাহ।
তাঁর বক্তব্য, “যখন মোদীজি ‘অপারেশন সিঁদুরে’র পরে এখানে এলেন, তখন আপনি নিন্দনীয় রাজনৈতিক বয়ান দিয়েছেন। আপনি শুধু এই ‘অপারশনে’র বিরোধিতা করেননি, আপনি এই দেশের মা-বোনের ভাবনার সঙ্গে ছেলে খেলা করেছেন। আমি পশ্চিমবঙ্গের মাতৃশক্তিকে আবেদন জানাই, আগামী নির্বাচনে আপনারা বুঝিয়ে দেবেন, সিঁদুর নিয়ে প্রশ্ন করলে কী হয়!”
রাজ্যে নারী নির্যাতন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সন্দেশখালি এবং আর জি কর প্রসঙ্গ তুলেছেন শাহ। আর অনুপ্রবেশ নিয়ে তাঁর দাবি, “এক তৃণমূল সাংসদ আমায় প্রশ্ন করেছিলেন, বিএসএফের কাজ অনুপ্রবেশ আটকানো। আমি বলেছি, দিদি কাঁটাতার বসানোর জন্য জমি দেননি। জমি পেলে যখন কাঁটাতার বসবে, তখন একটা পাখিও আসতে পারবে না! কিন্তু দিদি জমি দেবেন না। কারণ, দিদি চান অনুপ্রবেশ চলতে থাকুক আর ওঁর ভোট বাড়তে থাকুক। আর এ ভাবেই ওঁর পরে ভাইপো মুখ্যমন্ত্রী হবেন!’’ শাহের আরও দাবি, ‘‘ কিন্তু এই বার আর তা হবে না!”