বকুনি দেওয়া আত্মহত্যায় প্ররোচনা নয়: শীর্ষ আদালত
নয়াদিল্লি, ১ জুন: শিক্ষকের বকুনি খাওয়ার পরে গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছিল এক ছাত্র। সেই ঘটনায় শীর্ষ আদালত অভিযুক্ত শিক্ষককে বেকসুর মুক্তি দিয়েছে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ থেকে। মাদ্রাজ হাই কোর্টের রায় খারিজ করে মামলায় বিচারপতি আসাদুদ্দিন আমানুল্লা এবং বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্রের বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, বকুনির এমন পরিণাম কারও কল্পনাতেও আসবে না।
অভিযুক্ত শিক্ষক একটি স্কুল এবং হস্টেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত। আবাসিক এক ছাত্রের বিরুদ্ধে অন্য এক ছাত্র নালিশ করায় বকুনি দেন তিনি। তার পরে হস্টেলের ঘরে ছেলেটির ঝুলন্ত দেহ মেলে। তাকে আত্মহত্যার প্ররোচনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে মুক্তি দিতে অস্বীকার করেছিল মাদ্রাজ হাই কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, “সার্বিক ভাবে পুরো বিষয়টি বিবেচনা করে আমরা দেখেছি, এ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অবকাশ আছে। আবেদনকারী ঠিকই দাবি করেছেন, কোনও সাধারণ মানুষের পক্ষে কল্পনাও করা সম্ভব নয় যে বকুনি দেওয়ায়, তা-ও আবার অন্য ছাত্রের থেকে অভিযোগ পেয়ে বকুনির ফল এই রকম দুর্ভাগ্যজনক হবে, ছাত্র নিজের জীবনটাই শেষ করে দেবে।” দুই বিচারপতির বেঞ্চ বলেছে, অন্য ছাত্রের নালিশ পেয়ে সেই অভিযোগ গ্রাহ্য করে অভিযুক্ত ছাত্রকে বকুনি দেওয়াটা ন্যূনতম পদক্ষেপ ছিল।
সংবাদ সংস্থা