হারের অজুহাত দিচ্ছেন না পন্টিং, পরের বার ঘুরে দাঁড়ানোর শপথ
নিজস্ব প্রতিবেদন
৪ জুন: কোনও অজুহাত নয়। আইপিএল ফাইনালে বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কাছে হারের কারণ খুঁজতে গিয়ে পঞ্জাব কিংসের কোচ রিকি পন্টিং মেনে নিচ্ছেন, তাঁদের নিজেদের ভুলেই হারতে হয়েছে মঙ্গলবার!
পন্টিংয়ের সুরে সুর মিলিয়েছেন অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ারও। একইসঙ্গে শপথ নিয়েছেন, পরের বার তাঁর দল আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবে। বলেছেন, ‘‘সত্যি বলতে ভীষণ হতাশ আমি। তবে ছেলেরা অভিজ্ঞতাও অর্জন করল। সেটাও কম প্রাপ্তি নয়। আমি নিশ্চিত পরের বার ওরা আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবে।’’
পন্টিং বলেছেন, ‘‘আমার তরফ থেকে তো নয়ই, দলের তরফ থেকেও আমাদের কোনও অজুহাত নেই। শশাঙ্ক সিংহও আমাকে বলেছে, এই মরসুমে ওরা যত পিচে খেলেছে তার মধ্যে ফাইনালের পিচটাই সেরা। তাই পিচের জন্য হার নয়। আমি বলব গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দল ছন্দ হারিয়ে ফেলেছিল। বিশেষ করে পাওয়ার প্লে-র শেষের দিকের সময়টায়। ও-ই ছ’-সাত ওভারেই পিছিয়ে পড়লাম। উইকেটও তখন চলে গেল।’’
শ্রেয়সের কথা, ‘‘দু’দিন আগেই মুম্বই ইন্ডিয়ানসের সঙ্গে এই মাঠে খেলেছিলাম। ২০০ রান এখানে ভালই। আমরা তো প্রায় লক্ষ্যের কাছেই পৌঁছে গিয়েছিলাম। তবে ক্রুণাল পাণ্ড্যের কথা আলাদা করে বলতে হবে। ক্রুনাল অভিজ্ঞতা দারুণ ভাবে কাজে লাগিয়েছে।’’ শ্রেয়সের মতোই ক্রুনালের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন পন্টিং। প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়কের কথা, ‘‘খুবই ভাল বল করেছে ক্রুনাল। যে কারণে ১১ থেকে ১৩ ওভারের মধ্যে খেলাটা ক্রমশ আমাদের হাতের বাইরে চলে গেল। অথচ শেষদিকে আমাদের বোলাররা বেশ ভাল বল করেছে। সব মিলিয়ে, খারাপ খেলিনি আমরা। লক্ষ্যের অতটা কাছে পৌঁছে যাওয়াও আমাদের কাছে কিন্তু যথেষ্ট গর্বের ব্যাপার।’’
পন্টিং আরও বলেছেন, ‘‘আইপিএল জেতা সহজ ব্যাপার নয়। চেন্নাই কিংস, মুম্বই ইন্ডিয়ানসের মতো দল অনেক বার ট্রফি জিতেছে। আশা করব, আর এক বছর পরেই পঞ্জাব কিংসও ট্রফি জয়ের উৎসব করতে পারবে।’’ পাশাপাশি শ্রেয়সের কথা, ‘‘এ বছর আমরা বেশ ভালই খেলেছি। কখনও কখনও প্রত্যাশিত ফল হয়নি। খেলায় ভাল-খারাপ থাকে। সব চেয়ে বড় কথা, আমাদের একতা। যা আমাকে মুগ্ধ করেছে বারবার।’’
পঞ্জাব অধিনায়ক মনে করেন, এ বারের আইপিএলে তাঁরা অর্ধেক কাজ করতে পেরেছেন। ‘‘আগামী বছর ট্রফিটা জিততে চাই। প্রচুর ইতিবাচক দিক রয়েছে আমাদের। দলে অনেক তরুণ ক্রিকেটার রয়েছে যারা এ বারই প্রথম আইপিএল খেলল। তবু ওরা ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলেছে,’’ বলেছেন শ্রেয়স। পন্টিং আলাদা করে বলেছেন, বিরাট কোহলির কথাও। তাঁর কথা, ‘‘খেলার শেষ ওভারে পৌঁছে ওকে আনন্দে চোখের জল ফেলতে দেখলাম। আসলে আইপিএল জেতাটা প্রতিটি ক্রিকেটারের কাছে এতটাই আবেগের ব্যাপার।’’
মঙ্গলবার কোহলি বলেছেন, টেস্টই তাঁর কাছে সর্বোচ্চ মঞ্চ। আইপিএল পাঁচ ধাপ পিছনে থাকবে। বিরাটের মন্তব্যের সঙ্গে একমত পন্টিং। তাঁর কথা, ‘‘ও কেন এটা বলল তা ভালই বুঝি। যেখানে যা-ই করি, আমারও প্রথম ভালবাসা টেস্ট। চিরকাল সেটাই থাকবে। আমি তো বেশ কয়েকটা বিশ্বকাপ খেলেছি। সেখানে অবিস্মরণীয় মুহূর্ত এসেছে। কিন্তু বিরাট যেটা বলেছে সেটাই ঠিক। ওর টেস্ট জীবনও অসাধারণ!’’
অকপট: ফাইনালে হেরেও অখুশি নন পন্টিং। ফাইল চিত্র