সিনে-কারবার টোপেই কি দুষ্কৃতী খপ্পরে তরুণী
নিজস্ব সংবাদদাতা
অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও গ্রেফতার হয়নি, প্রায় পাঁচ মাস এক তরুণীকে আটকে রেখে শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের ঘটনার অভিযুক্তেরা। পুলিশের দাবি, হাওড়ার বাঁকড়ার বাসিন্দা ওই যুবক, তার মা ও বোনের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
তবে তরুণীকে আটকে রেখে অকথ্য অত্যাচারের বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষোভে ফুঁসছেন বাঁকড়ার ফকিরপাড়ার বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, ওই অভিযুক্ত পরিবারটি বিভিন্ন দুষ্কর্মে জড়িত। কয়েক বছর আগে ওই ফ্ল্যাট থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় অভিযুক্ত যুবকের মাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর করা অভিযোগপত্র অতীতে পুলিশকে জমা দিয়েও কোনও লাভ হয়নি। উল্টে পুলিশই বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে অভিযোগকারীদের
হেনস্থা করেছে।
বাঁকড়ার বাসিন্দাদের অভিযোগের সূত্রে এ বার অভিযুক্তেরা একটি প্রোডাকশন হাউসের আড়ালে লঘু, যৌন প্রদর্শন ভরপুর সিনেমা তৈরিতে যুক্ত বলে জানা গিয়েছে। শুধু মাত্র উত্তর ২৪ পরগনার নির্যাতিতা তরুণীই নয়, সিনেমায় কাজ দেওয়ার নামে লোভ দেখিয়ে আরও অনেক মেয়েকেই টোপ দেওয়া হত বলে অভিযোগ উঠে এসেছে।
বিশ্বাস অর্জন করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে তৈরি করা ছোট-ছোট ভিডিয়ো বা রিল ওই যুবক ও তার মা নিয়মিত সমাজমাধ্যমে পোস্ট করত বলেও জানা গিয়েছে। অভিনয়ের সুযোগের আশায় ফাঁদে পা দেওয়া তরুণীদের ফ্ল্যাটে নিয়ে এসে লঘু সিনেমা তৈরি করা হত বলেও এখন অভিযোগ
উঠে আসছে।
আরও অভিযোগ, এলাকার দুষ্কৃতীদের ওই ফ্ল্যাটে নিত্য যাতায়াত ছিল। এমনকী অভিযুক্তদের সঙ্গে পুলিশের উঁচু মহল ও শাসক দলের নেতাদের যোগাযোগও ছিল। তাই সব জেনেও ভয়ে কেউ মুখ খুলতেন না বলেই দাবি স্থানীয়দের। পুলিশ সব জেনেও চুপ ছিল কেন? হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘পুরো বিষয়টি তদন্তের আওতায় এনে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
শুক্রবার সকালে বাঁকড়া থেকে কোনওমতে বাড়িতে পালিয়ে গিয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা বছর চব্বিশের ওই তরুণী। তিনি খড়দহ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। শনিবার বিকেলে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট থেকে সেই অভিযোগ হাওড়া সিটি পুলিশের কাছে এসে পৌঁছয়। এর পরেই তদন্তে নামে ডোমজুড় থানার পুলিশ। বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ নিয়ে ফকিরপাড়ার ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে তদন্তকারীরা দেখেন,
দরজায় তালা ঝুলছে। অভিযুক্তেরা যে
সমস্ত সম্ভাব্য জায়গায় লুকিয়ে থাকতে