মেইতেই নেতার গ্রেফতারে অগ্নিগর্ভ ইম্ফল
নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি ও শিলচর, ৮ জুন: মণিপুরের সশস্ত্র মেইতেই গোষ্ঠী আরাম্বাই টেঙ্গলের ‘সেনাপ্রধান’ এ কানন সিংহকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে গত রাত থেকে ফের অগ্নিগর্ভ ইম্ফল। পরিস্থিতি সামলাতে রাজ্য সরকার ইম্ফল উপত্যকার পাঁচটি জেলায় পাঁচ দিনের জন্য ইন্টারনেট এবং মোবাইল ডেটা পরিষেবা স্থগিত করল। আরাম্বাই আজ থেকে মণিপুরে ১০ দিনের বন্ধ ডাকে। আজ প্রথম দিনে রাজ্যের মেইতেই অধ্যুষিত এলাকায় দোকানপাট, যানবাহন পুরোপুরি বন্ধ ছিল। পূর্ব ও পশ্চিম ইম্ফল বন্যায় বিধ্বস্ত। তার মধ্যেই ফের উত্তেজনা বৃদ্ধি, বন্ধ ও ইন্টারনেট ব্যাহত হওয়ায় সমস্যা আরও বাড়ল। এত দিন সেনা, পুলিশ, মেইতেই সংগঠনগুলি একসঙ্গে ত্রাণের কাজ চালাচ্ছিল। কিন্তু আজ থেকে বন্ধ সেই সহযোগিতাও।
পুলিশ জানায়, মণিপুর পুলিশের হেড কনস্টেবল এ কানন সিংহ অনেক দিন ধরেই আরাম্বাইয়ের হয়ে কাজ করছিল। সরকারি অস্ত্র লুট, যুবকদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়া-সহ বিভিন্ন কাজে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল সে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে পূর্ব ইম্ফলের এসপি তাকে সাসপেন্ডও করেন। এর পরে থেকে কানন পুরোপুরি আরাম্বাইয়ের নেতা হয়ে ওঠে এবং এখন সে বাহিনীর ‘সেনাপ্রধান’।
রাষ্ট্রপতি শাসনাধীন মণিপুরে শান্তি আনতে হলে সশস্ত্র আরাম্বাই বাহিনীকে দমন করতেই হত। তাই গত রাতে সিবিআই আরাম্বাই সদর দফতরে হানা দিয়ে কাননকে গ্রেফতার করে গুয়াহাটিতে নিয়ে যায়। তখন থেকেই শুরু হয় উত্তেজনা। আরাম্বাইদের তরফে আসে প্রতিরোধ। চলে গুলি। শুরু হয় রাস্তা অবরোধ। আরাম্বাই বাহিনীর মূল পৃষ্ঠপোষক, মণিপুরের বর্তমান রাজা তথা রাজ্যসভার সাংসদ লেইশেম্বা সানাজাওবা নিজে প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন। সঙ্গে ছিলেন একাধিক বিধায়ক। একটি ভিডিয়োতে সানাজাওবাকে বলতে দেখা যায়, “আমরা এত চেষ্টা করে রাজ্যের পরিস্থিতি শান্ত করছি, কিন্তু সেনার হঠকারি কাজে ফের সব অশান্ত হচ্ছে। তেমন হলে বিধায়কদের সঙ্গে আমাকেও গ্রেফতার করা হোক।”
কাননের সঙ্গে আরও কয়েক জন মেইতেইকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে গুজব রটে। পশ্চিম ইম্ফলের কোয়াকেইথেল পুলিশ পোস্টে সেই ধৃতদের আটকে রাখার গুজব ছড়ালে ওই পোস্টের সামনে এক দল দুষ্কৃতী বিক্ষোভ দেখায়। অবিলম্বে ধৃতদের মুক্তির দাবিতে কয়েক জন যুবক নিজের গায়ে পেট্রল ঢেলে আত্মাহুতির