গহলৌত এবং পাইলট সাক্ষাতে বরফ গলার ইঙ্গিত
জয়পুর, ৮ জুন: দু’জনের দ্বৈরথে একদা উত্তাল হয়েছিল রাজস্থানের কংগ্রেস রাজনীতি। এ বার রাজেশ পাইলটের মৃত্যুর ২৫ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠানে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের আমন্ত্রণ জানালেন রাজেশ-পুত্র সচিন।
২৫ বছর আগে রাজস্থানে এক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল রাজেশের। ১১ জুন দৌসায় রাজেশ-স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সচিন। একদা এই দৌসাই ছিল রাজেশের লোকসভা কেন্দ্র। গহলৌতের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে ওই অনুষ্ঠানে ব্যক্তিগত ভাবে আমন্ত্রণ জানান সচিন।
বহু বছর পরে এই ধরনের প্রকাশ্য আলাপচারিতায় দেখা গেল রাজস্থানের প্রভাবশালী দুই কংগ্রেস নেতাকে। ২০২০ সালে এই দুই নেতার মতপার্থক্যের ফলে রাজস্থানে রাজনৈতিক সঙ্কট দেখা দেয়।
২০২০ সালের ১৩ জুলাই তৎকালীন উপমুখ্যমন্ত্রী সচিনের দফতর থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের সরকার সংখ্যালঘু হয়ে গিয়েছে। পাইলটের ঘনিষ্ঠ শিবির সূত্রে ইঙ্গিত দেওয়া হয়, তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। পরে কংগ্রেস সচিনকে উপমুখ্যমন্ত্রী ও রাজস্থানের প্রদেশ সভাপতির পদ থেকে বরখাস্ত করে। সচিন-সহ ১৯ জন নেতার বিধায়ক পদ খারিজের প্রস্তাব পাশ করে রাজস্থান কংগ্রেস। বিধানসভার স্পিকার সি পি জোশী সচিন-সহ ১৯ জন বিধায়ককে নোটিস পাঠান। তার বিরুদ্ধে রাজস্থান হাই কোর্টে যান সচিন। বিধায়ক পদ খারিজের প্রক্রিয়া স্থগিত রাখতে নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট।
পরে ফের কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে সচিনের। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে ছত্তীসগঢ়ে প্রচারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের পদে সচিনকে নিয়োগ করে দল। সচিন অবশ্য আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি কংগ্রেসেই আছেন। এ বার গহলৌতের সঙ্গে সচিনের আলাপচারিতাকে তাঁদের রাজনৈতিক বৈরিতার ইতিহাসে বরফ গলার বড় ইঙ্গিত হিসেবেই দেখছেন রাজনীতিকেরা। সংবাদ সংস্থা