ভারতীয় চায়ের চাহিদা বাড়ছে বিদেশে, সঙ্গে দরও
নিজস্ব সংবাদদাতা
নিষিদ্ধ কীটনাশকের ব্যবহারের প্রবণতা ধাক্কা দিয়েছিল চায়ের চাহিদায়। শুধু স্বাস্থ্য নয়, প্রশ্নের মুখে পড়ে বিদেশে রফতানিও। তার পরেই নড়েচড়ে বসে চা পর্ষদ (টি বোর্ড)। তাদের সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, বিশ্ব বাজারে ফের বাড়ছে ভারতীয় চায়ের চাহিদা। সেই সঙ্গে মাথা তুলছে দরও।
পর্ষদ সূত্রে খবর, ইরান, ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও রাশিয়ায় অনেকটা বেশি বেড়েছে ভারতীয় চায়ের কদর। এমনকী নিলামে ভাল মানের (প্রিমিয়াম) চায়ের দরও গত চার বছরের মধ্যে বেড়েছে সবচেয়ে বেশি হারে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানাচ্ছে, জানুয়ারি-এপ্রিলে এই নিলামে গড় যে দর উঠেছিল, তা তিন বছরে সর্বাধিক। ২০২২ সালে কেজিতে দর ছিল ১৪৬.৯৯ টাকা। সেটাই ২০২৩ সালে হয় ১৫০.৩৯ টাকা। গত বছর ১৩৬.৪১ টাকা। এ বছর প্রথম চার মাসে হয়েছে কেজিতে ১৬০.৪৯ টাকা।
প্রসঙ্গত, চায়ের গুণমান নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই পদক্ষেপ করে টি-বোর্ড। বিভিন্ন এলাকায় হানা দিয়ে খারাপ চায়ের চক্র ভাঙার চেষ্টাও হয় সমান্তরালে। পর্ষদকে নিয়মিত গুণমান পরীক্ষা ও সেই অনুসারে পদক্ষেপের ছাড়পত্র দেন বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। কেন্দ্র বলে, চায়ের গুণমান নিয়ে আপোস করা হবে না। ১০০% গুঁড়ো চায়ের নিলাম চলবে ও তা বাধ্যতামূলক। গুণমান পরীক্ষাও করবে খাদ্য নিয়ন্ত্রক এফএসএসএআই। পরীক্ষার ফল ওয়েবসাইটে তুলে জনগণকে জানানোর ব্যবস্থাও হবে। নিষিদ্ধ কীটনাশকের প্রয়োগ রুখতে জারি থাকবে পর্ষদের নজরদারি। একই সঙ্গে প্রতি বছর ৩০ নভেম্বর থেকে বাধ্যতামূলক ভাবে চা বাগান বন্ধের নির্দেশও দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে চায়ের বাজার ফেরাতে এই পদক্ষেপগুলি কাজ করেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের।