সিঁদুর অভিযানের দোহাই দিয়ে লাভ নেই, বোঝাল আদালত
নয়াদিল্লি, ২৪ জুন: পণের জন্য স্ত্রীকে হত্যায় দোষী সাব্যস্ত ব্ল্যাক ক্যাট কমান্ডোকে আত্মসমর্পণের প্রশ্নে ছাড় দিল না সুপ্রিম কোর্ট। ওই কমান্ডো শীর্ষ আদালতে জানিয়েছিলেন, তিনি অপারেশন সিঁদুর অভিযানে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে বলেছে, এর জন্য আপনি রেহাই পাবেন না।
কুড়ি বছর আগে পণের জন্য স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের ঘটনায় আগেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন ওই কমান্ডো। পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্ট তাঁর আর্জি খারিজ করে দশ বছরের জন্য কারাদণ্ড দিয়েছিল। ওই কমান্ডো শীর্ষ আদালতে আর্জি জানিয়ে বলেন, সুপ্রিম কোর্টে যত দিন না মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে, তত দিন পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে চান না তিনি। শীর্ষ আদালত তা অস্বীকার করলে কমান্ডোর আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেল ২০ বছর ধরে ব্ল্যাক ক্যাট কমান্ডো হিসেবে কাজ করছেন। অপারেশন সিঁদুর-এও যোগ দিয়েছেন তিনি। একথা শুনেই বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার মন্তব্য, ‘‘বাড়িতে অত্যাচার
চালানোর ব্যাপারে এসব (অপারেশন সিঁদুরে যোগ দেওয়া) আপনাকে কোনও রক্ষাকবচ দেবে না। বরং এটা বোঝাচ্ছে, আপনি শারীরিক ভাবে কতটা শক্তিশালী যে একাই হয়তো আপনার স্ত্রীকে খুন করতে পারেন।’’ আদালত জানিয়েছে, নৃশংস ভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যার এই মামলায় কাউকে রেহাই দেওয়ার প্রশ্নই উঠছে না। বিচারপতি বিনোদ চন্দ্রন বলেন, হাই কোর্টও ওই কমান্ডোকে ছাড় দেয়নি।
পণের জন্য খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ওই কমান্ডো। মঙ্গলবার তাঁর আইনজীবী বলেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে একটি মোটরসাইকেল পণ হিসেবে চাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। আর মৃতা স্ত্রী র দুই আত্মীয় এর সাক্ষী। সেই সাক্ষীদের বক্তব্যে অনেক অসঙ্গতি রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তবে তা সত্ত্বেও শীর্ষ আদালত কমান্ডোকে আত্মসমর্পণের প্রশ্নে রেহাই দিতে রাজি হয়নি। কমান্ডোর আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকারি উকিলকে প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য নোটিস দিয়ে ছয় সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। কমান্ডোর আইনজীবী আত্মসমর্পণের জন্য সময় চাইলে দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
সংবাদ সংস্থা