যুবককে হোটেলে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি, ধৃত চার
নিজস্ব সংবাদদাতা
বিহারের বাসিন্দা এক যুবককে কাজের টোপ দিয়ে অপহরণ করেছিল একটি চক্র। চাওয়া হয়েছিল মুক্তিপণ। তদন্তে নেমে হাওড়ার গোলাবাড়ি থানার পুলিশ অমৃত রাজ (৩০) নামে ওই যুবককে পঞ্চসায়রের একটি হোটেল থেকে উদ্ধার করল। গ্রেফতার হয়েছে অপহরণ চক্রের পান্ডা-সহ তিন জন। ধৃতদের মধ্যে কলকাতা পুলিশের গাড়ির এক চালকও রয়েছে। ধৃতদের হেফাজতে নিতে মঙ্গলবার হাওড়া আদালতে আবেদন করেছে পুলিশ।
সোমবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ রবীশ কুমার নামে বিহারের বেগুসরাইয়ের এক বাসিন্দা গোলাবাড়ি থানায় অভিযোগে জানান, তাঁর বন্ধু অমৃত রাজকে কাজের টোপ দিয়ে ডেকে আনে বিমলেশ কুমার নামে এক ব্যক্তি। পরে অমৃতকে হোটেলে আটকে রেখে এক লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। পুলিশ অপহরণের মামলা রুজু করে তদন্তে নামে। যে ফোন থেকে অমৃতের বাড়িতে ফোন করা হয়েছিল, সেটির টাওয়ারের অবস্থান জেনে তদন্তকারীরা পঞ্চসায়রের ওই হোটেলে পৌঁছন মঙ্গলবার সকালে। হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয় অমৃতকে। হোটেল থেকেই ধরা পড়ে মূল মাথা বিমলেশ-সহ তার তিন সঙ্গী— মাঞ্জের আলম, জিয়ারুল রহমান লস্কর ও গাড়িচালক দীপজয় বন্দ্যোপাধ্যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, অমৃতকে এক বন্ধু জানিয়েছিলেন, কলকাতায় যোগাযোগ করলে কাজ পাওয়া যাবে। সেই মতো বিমলেশের সঙ্গে যোগাযোগ করে অমৃত তাঁর দুই বন্ধুকে নিয়ে গত রবিবার হাওড়ার একটি হোটেলে ওঠেন। সোমবার দুপুরে কাজ দেওয়ার নাম করে শুধু অমৃতকে ডেকে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা হয়। অমৃতকে দিয়েই তাঁর বিহারের বাড়িতে ফোন করায় অপহরণকারীরা।
পুলিশ জানায়, বিমলেশ আদতে দিল্লির বাসিন্দা। তার চক্রের কাজই হল বিহারের গ্রামের ছেলেদের কলকাতায় কাজের টোপ দিয়ে নিয়ে এসে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায় করা। অমৃতের পরিবার তুলনামূলক ভাবে সচ্ছল হওয়ায় তাকেই অপহরণ করে সে।