প্রাক্তনীর দাপটে মেরুদণ্ড নত বহু কলেজেই
নিজস্ব সংবাদদাতা
তাঁরা শাসক দলের ছাত্রনেতা। কলেজের সঙ্গে সম্পর্কটা তাই ‘আজন্মের বন্ধন’ বলেই রসিকতা চলে সংশ্লিষ্ট মহলে। উত্তর কলকাতার একটি পুরনো কলেজে জনৈক শিক্ষাকর্মী বাম আমলে শাসক দলের ছাত্রনেতা ছিলেন। তৃণমূল জমানাতেও শাসক দলের ছাত্রনেতা হয়ে ওঠেন তিনি। পরে তিনিই কলেজের কর্মচারীও হয়েছেন। কসবার আইন কলেজের একদা দাপুটে ছাত্রনেতা তথা এখনকার শিক্ষাকর্মী মনোজিৎ মিশ্রের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে আসার পরে রাজ্য জুড়েই কলেজে কলেজে প্রভাবশালী প্রাক্তনীদের নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
চলতি রাজনৈতিক জমানায় ছাত্রনেতাদের সঙ্গে অপরাধের যোগ ক্রমশ বেড়েছে বলেই মনে করছেন দক্ষিণ কলকাতার একটি পরিচিত কলেজের অধ্যাপিকা। তাঁর কথায়, “২০১৭-র পরে কলেজে ইউনিয়ন নির্বাচন বন্ধ। কোনও ছাত্র প্রতিনিধি না-থাকায় প্রাক্তনীদের দাপট আরও বেড়েছে।” দু’বছর আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে র্যাগিংয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনাতেও প্রাক্তনীদের নাম উঠে আসে। ইউজিসি-র বিধি মেনে এর পরে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রদের জন্য শিক্ষাঙ্গনের ভিতরেই আলাদা হস্টেলের বন্দোবস্ত হয়েছে। কিন্তু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কলেজে ‘প্রাক্তনী-রাজ সংস্কৃতি’ ক্রমশ ফুলেফেঁপে উঠছে তার পরেও।
ইউনিয়ন না-থাকলেও অনেক কলেজে স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার কমিটির নামে ছাত্রনেতা তথা শাসক দলের ছাত্র সংগঠনেরই রাজত্ব চলে বলে অভিযোগ। কলেজের নানা অনুষ্ঠান সামলায় ওই কমিটিই। ভর্তির অনলাইন পোর্টাল চালু হলেও গত বছরও কলেজের অনেক আসন ফাঁকা থাকায় পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ সরাসরি ভর্তি প্রক্রিয়ায় নামেন। তখন ছাত্রনেতা কিংবা ‘কীর্তিমান’ প্রাক্তনীদের একাংশের পোয়া বারো দেখা যায় বলে অভিযোগ। উত্তর কলকাতার একটি কলেজের অধ্যাপিকা বলেন, “কোনও কোনও ছাত্রনেতা আবার বছরের পর বছর পাশ করারই চেষ্টা করে না। কোভিডের সময়ে পাশ করানোর উদার হওয়ায় নিরুপায় হয়ে পাশ করতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু কলেজে তাদের দাপট কমেনি।”
উত্তর কলকাতার একটি পুরনো