যৌন নিগ্রহের এফআইআর খচিত ‘এমএম’
নিজস্ব সংবাদদাতা
২০১৩ সাল। কালীঘাট মন্দির চত্বরে রাতে এক যুবকের বুকে ছুরির কোপ বসিয়ে ফেরার। পুলিশ এফআইআর করে তদন্তে নামলেও পরের প্রায় তিন বছর সে অধরা। ২০১৭ সালে দ্বিতীয় দফায় দক্ষিণ কলকাতা ল কলেজে ভর্তি হয়েই ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। গড়িয়াহাট থানা (তখন কলেজটি গড়িয়াহাট থানার অন্তর্গত) এফআইআর করে তদন্তে নামলেও তাকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে অভিযোগ। ২০২২ সাল। কলেজের এক প্রথম বর্ষের ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে কসবা থানায় তার নামে এফআইআর। এবং পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরেই ছিল সে।
অভিযোগ, এ তো শুধু এফআইআর দায়ের হওয়া ঘটনার বিবরণ। থানায় তার বিরুদ্ধে নিগ্রহ, টাকা হাতানো, হুমকি, মারধর, র্যাগিংয়ের মতো জমা পড়া লিখিত অভিযোগের সংখ্যা প্রচুর।
দক্ষিণ কলকাতা ল কলেজের এ হেন প্রাক্তন পড়ুয়া তথা বর্তমানে ওই কলেজের অস্থায়ী কর্মী মনোজিৎ মিশ্রকে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে, কলেজেরই এক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও বেধড়ক মারধরের অভিযোগে। অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে তিলজলার বাসিন্দা জাইব আহমেদ ও হাওড়ার চ্যাটার্জিহাটের বাসিন্দা প্রমিত মুখোপাধ্যায় নামে ওই কলেজেরই দুই ছাত্রকে। এ ব্যাপারে খোঁজ করতে দক্ষিণ কলকাতার ওই কলেজে গিয়েই শুক্রবার চোখে পড়ল, কলেজে মনোজিৎকে নিয়ে বিশাল দেওয়াল লিখন। তাতে লেখা, ‘মনোজিৎ দাদা আমাদের হৃদয়ে রয়েছে’। এর তলায় লেখা ‘টিম এমএম’। তার উপরেই দেওয়ালে নীল-সাদা রঙে লেখা ‘টিএমসিপি। আমরা সবাই সার্থক...’।
কলেজের মূল ফটক পেরিয়ে ঢুকতেই সরাসরি উল্টো দিকের দেওয়ালে এই লেখা দেখিয়ে কলেজের এক বর্তমান পড়ুয়া বললেন, “টিম এমএম-এর অর্থ হল মনোজিৎ মিশ্রের টিম। সাত তলা এই কলেজে ঘুরলেই চোখে পড়বে জায়গায় জায়গায় ‘টিম এমএম’ লেখা এমন পোস্টার, হোর্ডিং, দেওয়াল লিখন। কারণ, এই কলেজে মনোজিৎ মিশ্র বা এমএম-ই শেষ কথা। কোনও কোনও ক্ষেত্রে অধ্যক্ষের চেয়েও