ভাঙা হল ‘মৃত্যুঞ্জয়’ ভাস্কর্যের ৭টি দেওয়াল
নিজস্ব প্রতিবেদন
২৭ জুন: বাংলাদেশের ঢাকার বিজয় সরণিতে শেখ মুজিবুর রহমানের ‘মৃত্যুঞ্জয়’ ভাস্কর্যের পিছনের সাতটি দেওয়াল আজ ভেঙে ফেলা হয়েছে। ওই জায়গায় গড়ে তোলা হবে ‘জুলাই শহীদদের স্মরণে ভাস্কর্য ও উন্মুক্ত স্থান’। এই ঘটনায় সমাজমাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে। তীব্র সমালোচনা শুরু করেছেন নেট নাগরিকদের একটা বড় অংশ।
গত ৫ অগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে ছাত্র-জনতা ওই ‘মৃত্যুঞ্জয়’ ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলেছিল। দিন কয়েক আগে প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেয়, শেখ মুজিবুর রহমানের ‘মৃত্যুঞ্জয়’ ভাস্কর্যের জায়গায় ‘জুলাই শহীদদের স্মরণে ভাস্কর্য ও উন্মুক্ত স্থান’ নির্মাণ করবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। সেই নির্মাণকাজের অংশ হিসেবে আজ বিজয় সরণির ‘মৃত্যুঞ্জয়’ ভাস্কর্যের বাকি সাতটি দেওয়াল ভেঙে ফেলেছে তারা। বুলডোজ়ার দিয়ে ভাঙা হয় দেওয়ালগুলি। সূত্রের খবর, ডিএনসিসি-র বোর্ড সভায় ‘জুলাই শহীদদের স্মরণে ভাস্কর্য ও উন্মুক্ত স্থান’ গড়ার সিদ্ধান্ত হয়।
সেই অনুযায়ী, পূর্ত বিভাগ পরিকল্পনা ও নকশা প্রস্তুত করছে। ডিএনসিসি-র প্রশাসক এজ়াজ় মোহম্মদ বলেন, ‘‘জুলাই আন্দোলন এবং স্বাধীনতাকে বিবেচনায় রেখে ওই ভাস্কর্য তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে।’’
২০২৩ সালের ১০ নভেম্বর ‘মৃত্যুঞ্জয়’ ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দৃষ্টিনন্দন চত্বরে স্থাপন করা হয় ভাস্কর্যটি। সেটির দেওয়ালে ম্যুরালও স্থান পায়। চত্বরের সাতটি দেওয়ালে ভাষা আন্দোলন-সহ বিভিন্ন গণআন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে মুজিবুরের নেতৃত্ব এবং অবদানের নানা দিক তুলে ধরা হয়।
ওই সাতটি দেওয়াল ভাঙার ছবি ও ভিডিয়ো পোস্ট করে সমাজমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় তুলে আওয়ামী লীগের প্রাক্তন সাংসদ মাহবুব রহমান রুহেল ফেসবুকে লেখেন, ‘এটা বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং বাংলা ভাষার প্রতি ঘৃণা ও আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ! পূর্ব পাকিস্তান (‘নতুন বাংলাদেশ’) লোডিং...’ ।
এরই মধ্যে দিন দুয়েক আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাস্কর্য বিভাগের নামটিই পাল্টে দিয়েছে। নতুন নামকরণ করা হয়েছে, ‘ত্রিমাত্রিক শিল্প ও নকসা’ বিভাগ।