প্রাক্তনীর
কলেজে আবার অধ্যক্ষ হস্টেল মেরামতির কিছু কাজ সরাসরি পূর্ত দফতর মারফত করানোয় প্রাক্তনী তথা ছাত্রনেতাদের রোষের মুখে পড়েন। কলেজ কর্তৃপক্ষ নিজেরা দরপত্র না ডাকায় ওই ছাত্রনেতারা প্রভাব বিস্তারের সুযোগ পাননি বলে অভিযোগ। এর পরে কলেজে ওই কাজ বন্ধ করানোর নানা অপচেষ্টা হয়েছিল বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর। দক্ষিণ কলকাতার একটি নামী কলেজের বটানির অধ্যাপক তাঁর রাজনৈতিক মতামতের দরুন ছাত্রনেতাদের হাতে ‘মার’ খেয়ে দীর্ঘ দিন কলেজমুখো হন না বলে অভিযোগ। যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজকুমার রায়ের অভিযোগ, ‘‘কলেজে শেষ কয়েকটি গভর্নিং বডির সভায় ছাত্রনেতাদের উপস্থিতি বন্ধ করতে গিয়ে অপমানিত হতে হয়েছে। গত মে মাসে সভা শুরুর আগে কিছু ছাত্র অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করে। কোর্টের নির্দেশ থাকলেও কলেজ চত্বরে বহিরাগত প্রভাবশালী প্রাক্তনীদের উপস্থিতিও বন্ধ করা যায়নি।’’
নৈশ কলেজ এবং ইউনিয়ন রুমে সন্ধ্যা হলে ছাত্রনেতাদের দাপাদাপিই নানা জায়গায় দস্তুর। ইউনিয়ন না-থাকলেও জোর করে ইউনিয়ন রুম খুলিয়ে শাসক দলের ছাত্রনেতারাই ঘাঁটি গেড়ে বসেন বলে অভিযোগ বহু শিক্ষকের। দক্ষিণ কলকাতার একটি কলেজের অধ্যক্ষের মতে, ‘‘কলেজে কলেজে নিরাপত্তার অডিট করানো উচিত বিকাশ ভবনের। সব কলেজে সিসি ক্যামেরা মোতায়েন ও ফুটেজ জরিপ, কত দূর হয়, তা প্রশ্ন সাপেক্ষ।’’ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (কুটা) সাধারণ সম্পাদক তথা বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজের মাইক্রোবায়োলজির অধ্যাপক সাগরময় ঘোষ বলছেন, ‘‘প্রশাসনের অকর্মণ্যতার ফলে বিভিন্ন কলেজে সিমেস্টারের ফর্ম-ফিলআপ থেকে নানা কাজে ছাত্রনেতা, প্রাক্তন ছাত্রনেতারা ছড়ি ঘোরায়।’’ কলেজের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নিস্পৃহতার দিকেও কুটা আঙুল তুলেছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘ইউনিয়ন ভোট না হওয়া ছাড়াও আর জি করের ঘটনায় সুবিচার না-মেলাতেও এমন অপরাধের প্রবণতা বাড়ছে।’’ ওয়েবকুপা, এআইডিএসও, আক্রান্ত আমরা-ও কলেজে দুর্বৃত্তায়ন নিয়ে সরব।