বিএলও নিয়োগ নিয়ে জটিলতা, কড়া বার্তা কমিশনের
নিজস্ব সংবাদদাতা
নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার কথা ছিল ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। কারণ, সেই প্রস্তুতি দেখেই এ রাজ্যে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) কাজ শুরু করবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এর মধ্যেই বুথ লেভেল আধিকারিক (বিএলও) নিয়োগ নিয়ে জটিলতা দেখা দেওয়ায় বিদ্যালয় শিক্ষা দফতরকে কড়া বার্তা পাঠাল কমিশন। লিখিত সেই বার্তায় জানানো হয়েছে, শিক্ষকদের যাঁরা বিএলও হিসেবে যুক্ত হননি, তাঁদের দ্রুত সেই নিয়োগপত্র গ্রহণ করাতে হবে শিক্ষা দফতরকে। অন্যথায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
কিছু দিন আগে ওই দফতরের সচিব বিনোদ কুমারকে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর জানিয়েছে, একাধিক জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা বিএলও-র নিয়োগপত্র গ্রহণ করছেন না। সেই প্রত্যাখ্যানের সাপেক্ষে কারণ দর্শানোর নোটিসেরও (শো-কজ়) জবাব দেওয়া হচ্ছে না। কমিশন শিক্ষাসচিবকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে, এই ধরনের আচরণ ভাল ভাবে গৃহীত হবে না। কারণ, বিএলও নিয়ে আদালতেরও সুনির্দিষ্ট রায় রয়েছে। যা সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এই আচরণের সঙ্গে মানানসই নয়। এই পরিস্থিতিতে সেই সব শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দ্রুত বিএলও-র কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিতে শিক্ষাসচিবকে দায়িত্ব দিয়েছে কমিশন। তার পরেও তাঁরা নির্দেশ অগ্রাহ্য করলে বিনা নোটিসেই আইনি পদক্ষেপ করবে কমিশন।
প্রসঙ্গত, এ রাজ্যে বেশির ভাগ বিএলও-ই আগে ছিলেন আংশিক সময়ের বা চুক্তিভিত্তিক কর্মী। এখন কমিশনের অবস্থান— এই পদে স্থায়ী সরকারি কর্মীরাই নিযুক্ত হবেন। কোথাও সেই সংখ্যক কর্মী পাওয়া না গেলে লিখিত ভাবে তা কমিশনকে জানাতে হবে জেলা-কর্তাদের। কমিশনের সিদ্ধান্ত মেনে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। এ ক্ষেত্রে বেশির ভাগ শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরই বিএলও হিসেবে নিয়োগ করছে জেলা প্রশাসনগুলি। তা নিয়ে যথেষ্ট আপত্তি রয়েছে শিক্ষকদের একাংশের। তারই ফলে এই নিয়োগপত্র প্রত্যাখ্যান। এ নিয়ে তাঁদের একাংশ মামলা করলেও লাভ হয়নি। অভিজ্ঞ কমিশন-কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, সরকারি কর্মীদের প্রয়োজন ভিত্তিতে নির্বাচনের কাজে নিযুক্ত হতে হয়। সেটাও তাঁদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। শারীরিক বা অতি জরুরি পারিবারিক কারণে কমিশনের কাছে আবেদন করলে