ডাকঘরে কারচুপি
আমি এক জন প্রবীণ নাগরিক। আন্দামানের একটি বাংলা সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক। কিছু দিন আগে বেলঘরিয়া মুখ্য ডাকঘরে আমার পত্রিকার সাতটি কপি রেজিস্ট্রি পার্সেল প্যাকিং করে নিয়ে যাই। প্রত্যেকটি কপির ওজন ছিল ৫৫০ গ্রাম। হিসেবমতো প্রত্যেকটি পার্সেলের মোট মাসুল হওয়ার কথা ৫২ টাকা। সেই সঙ্গে ১৮ শতাংশ জিএসটি চার্জ (মানে ৯ টাকা ৩৬ পয়সা) নিয়ে মোট অঙ্ক ৬১ টাকা ৩৬ পয়সা হওয়ার কথা।
সে দিন ডাকঘরে লিঙ্ক না থাকায় কোনও কাজ হয়নি। পরের দিন গিয়ে দেখি প্রচণ্ড ভিড়। প্রায় দু’-ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে যখন আমার পালা এল, তখন বলা হল, পাঁচটির বেশি পার্সেল এক সঙ্গে নেওয়া হবে না। আমি পাঁচটিই দিলাম। পাঁচটি পার্সেলের ওজন একই থাকা সত্ত্বেও কাউন্টারে বসা কর্মী প্রত্যেকটি প্যাকেটের ভর এবং আয়তন আলাদা আলাদা করে মাপলেন। কেন, সেটা বুঝলাম না। তার পর পাঁচটি পার্সেলের জন্য আমার কাছ থেকে ডাককর্মী নিলেন মোট ৩০৬ টাকা।
অত্যধিক গরমে আমি কোনও রকমে রসিদগুলি পকেটে পুরে বাস ধরে বাড়ি ফিরি। ঘরে ফিরে রসিদগুলি পুনরায় দেখতে গিয়ে দেখি, সেগুলির প্রত্যেকটিই ৫২ টাকার রসিদ। জিএসটি-র কোনও উল্লেখই রসিদে নেই। ডাকবিভাগ কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে। কিন্তু এ রাজ্যের স্থানমাহাত্ম্য গুণে বোধ হয় কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদেরও দুর্নীতির ছোঁয়া লেগে গিয়েছে।
অনাদিরঞ্জন বিশ্বাস
শ্রীবিজয়পুরম, দক্ষিণ আন্দামান