জেন জ়ি নিয়ে ভাগবত
ধীরে ধীরে পুঁজিবাদী দেশে পরিণত হয়েছে। এ ধরনের বিপ্লব কোথাও সফল হয়নি। ইতিহাস তাই বলে। হিংসা বা অশান্তির কারণে পরিবর্তন আসে না। এ ধরনের প্রচেষ্টা অশান্তি সৃষ্টি করে কিন্তু দেশের পরিস্থিতি একই থাকে। পরিবর্তন তখনই হয় যখন তা গণতান্ত্রিক পথ ধরে আসে।’’
যে ভাবে ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলিতে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হচ্ছে তা চিন্তাজনক বলে মন্তব্য করেন ভাগবত। জেন-জ়ি আন্দোলন নিয়ে প্রথম বার মুখ খুলে ভাগবত বলেন, ‘‘যে দেশগুলিতে ওই অশান্তি হচ্ছে, তারা কিছু দিন আগে পর্যন্ত ভারতের অংশ ছিল। তাই প্রতিবেশী দেশে অশান্তি কেবল জাতীয় নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগের বিষয় নয়, তা আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ককেও প্রভাবিত করে থাকে।’’ ভাগবত আজ সরাসরি না বললেও, ঘুরিয়ে এ ধরনের অশান্তির জন্য বিদেশি শক্তিকেই দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘এ ধরনের হিংসাত্মক আন্দোলন ভারতের জন্যও চিন্তার। কারণ কিছু শক্তি রয়েছে যারা ভারতেও একই ধরনের অশান্তি তৈরি করতে সক্রিয় রয়েছে। এ ধরনের শক্তিগুলি দেশের অভ্যন্তরে ও বাইরে সক্রিয় রয়েছে।’’
ভারতকে ভাঙার চেষ্টা করলেও, এ দেশের সামাজিক ঐক্যকে জাতীয় শক্তির ভিত্তি হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন মোহন ভাগবত। তাঁর মতে, ভারতের ভাষা, বিশ্বাস, বর্ণ এবং জীবনযাত্রার বৈচিত্রকে বিভাজনের উৎস হিসেবে দেখা উচিত নয়। ভাগবত বলেন, ‘‘স্বতন্ত্র পরিচয় থাকা সত্ত্বেও আমরা এক জাতি।’’ সম্প্রদায়গুলির মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি বজায় রাখার বার্তা দিয়ে ভাগবত বলেন, ‘‘নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়া কিংবা কোনও সম্প্রদায়কে উস্কে দেওয়া আদৌ ঠিক নয়। সরকারকে আইন মতো কাজ করার পাশাপাশি সমাজকেও দায়িত্বশীল ও সতর্ক থাকতে হবে।’’
আজ নিজের বক্তব্যে পহেলগাম হামলার নিন্দা করেন ভাগবত। ওই সন্ত্রাসী হামলা ও প্রত্যাঘাতের সময়ে বিভিন্ন দেশের অবস্থান ভারতের প্রকৃত বন্ধুকে চিনতে সাহায্য করেছে বলে মন্তব্য করেন ভাগবত। তিনি বলেন, ‘‘যদিও আমরা সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলি কিন্তু নিরপত্তার ক্ষেত্রে আমাদের আরও সতর্ক, শক্তিশালী হতে হবে। ওই হামলা আমাদের স্পষ্ট করে দিয়েছে কারা এ দেশের কতটা বন্ধু
আর কারা নয়।’’