বার্সেলোনাকে হারিয়ে চমক পিএসজির, ড্র ম্যান সিটির
নিজস্ব প্রতিবেদন
২ অক্টোবর: প্রাক্তন ক্লাবের বিরুদ্ধে জিতলেন লুইস এনরিকে। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সেলোনার ঘরের মাঠে ২-১ জিতল প্যারিস সঁ জরমঁ।
পিএসজির প্রথম একাদশে ছিলেন না উসমান দেম্বেলে, কাভারাতস্কেলিয়া, দেসিয়ে দুয়েরা। ক্যাপ্টেন মার্কুইনোসও ছিলেন না দলে। তা সত্ত্বেও তরুণ দল নিয়েই জয় পেতে অসুবিধা হয়নি পিএসজির।
অতিরিক্ত হাইলাইন ডিফেন্স সাজানোর ফল ভুগতে হলো বার্সাকে। আরাউহো, ক্রিস্তেনসেনরা না থাকায় প্রতিআক্রমণে বারবার সমস্যায় পড়ছিল হান্সি ফ্লিকের দল। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছন্দে শুরু করে দুই দল। ১৩ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যাওয়ায় সুযোগ পেয়েছিল বার্সা। ইয়ামালের থ্রু ধরে পিএসজি গোলকিপারকে কাটিয়ে শট নেন ফেরান তোরেস। তবে প্রায় গোল লাইন থেকে তা বাঁচিয়ে দেন ডিফেন্ডার জেবেরনি। তবে গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি।
১৯ মিনিটে ইয়ামাল ও পেদ্রি ওয়ান-টু খেলে বল বাড়ান র্যা শফোর্ডকে। বাঁ প্রান্ত থেকে তাঁর বক্সে রাখা মাইনাসে গোল করেন ফেরান তোরেস। এরপর আশরফ হাকিমির ফ্রিকিক সেভ করেন বার্সার গোলরক্ষক সেজ়নি। তবে ৩৭ মিনিটে স্পেনের ক্লাবের ডিফেন্স চিরে পাস বাড়ান নুনো মেন্দেস। সেই বল পেয়ে সমতা ফেরান ১৯ বছরের সেনি মায়ুলু।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের চাপ আরও বাড়ায় পিএসজি। বেশ কয়েকটি নিশ্চিত গোল বাঁচান সেজ়নি। লি কাং ইনের শট পোস্টে লাগে। বার্সার হয়ে সহজ সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি দানি ওলমো। রবার্ট লেওনডস্কি, ভালদেরা নেমেও এগিয়ে দিতে পারেননি বার্সাকে। ৮৭ মিনিটের মাথায় প্রতিআক্রমণ থেকে জয় তুলে নেয় পিএসজি। ডান প্রান্ত থেকে গোলের বল সাজিয়ে দেন হাকিমি। সহজ সুযোগ গোলে পরিণত করতে ভুল করেননি পরিবর্ত হিসেবে নামা গন্সালো রামোস। বার্সেলোনার রক্ষণের একাধিক ফাঁকফোকর স্পষ্ট হয়েছে বুধবারের ম্যাচে। রাফিনহার অভাবও বোঝা গিয়েছে বারবার।
হারের পরে বার্সেলোনার ম্যানেজার ফ্লিক জানিয়েছেন, অতিরিক্ত ক্লান্তির কারণে এই ফল হয়েছে। ফ্লিক বলেছেন, ‘‘পিএসজির সঙ্গে আমরা পাল্লা দিতে পারিনি। সত্যিই পিছিয়ে ছিলাম।’’ যোগ করেন, “৩৫ মিনিটের পর থেকেই ম্যাচে দাপট দেখাতে শুরু করে পিএসজি। আমরা সেরাটা দিতে পারিনি। যোগ্য দল হিসেবেই পিএসজি জিতেছে।’’
ফ্লিক আরও বলেছেন, ‘‘দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের ফুটবলারেরা একেবারে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিল। ১-১ ফলের পরে আমাদের রক্ষণকে মজবুত করা উচিত ছিল। যা আমরা পারিনি।’’
অন্য দিকে হালান্ডের জোড়া গোলেও জয় অধরা রইল ম্যান সিটির। ফরাসি ক্লাব মোনাকোর বিরুদ্ধে ২-২ ড্র করল পেপ গুয়ার্দিওলার দল। প্রথমার্ধে ২-১ গোলে এগিয়ে ছিল ম্যান সিটি। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতা ফেরান এরিক ডায়ার। ধারেভারে পিছিয়ে থাকা দলের কাছেও এ ভাবে আটকে যাওয়া চিন্তা বাড়াবে ম্যান সিটির। একই দিনে ভিয়ারিয়ালের বিরুদ্ধে ২-২
ড্র করল জুভেন্তাস।
বিধ্বস্ত: ঘরের মাঠে হারের পরে লেয়নডস্কি, ইয়ামাল ও দে জং। রয়টার্স