প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা ঠেকাতে অনেক নতুন মন্ত্রী গুজরাতে
নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি, ১৭ অক্টোবর: চলতি বছরেই রয়েছে পঞ্চায়েত ও পুরভোট। দু’বছরের মধ্যেই হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া প্রবল হওয়ায় একাধিক নতুন মুখকে নিয়ে আসা হল গুজরাতের মন্ত্রিসভায়। যদিও মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল নিজের জায়গাতেই রয়ে গেলেন। এ বারের মন্ত্রিসভার রদবদলে মূলত সামনে তুলে নিয়ে আসা হয়েছে হর্ষ সাঙ্গভি-কে। তরুণ ওই নেতাকে প্রতিমন্ত্রী থেকে সরাসরি রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী করেছে দল। মন্ত্রী হয়েছেন ক্রিকেটার রবীন্দ্র জডেজার স্ত্রী রিভাবা জাডেজা।
মন্ত্রিসভা রদবদলের জল্পনা ছিল গত ক’দিন ধরেই। গতকাল কিছুটা অপ্রত্যাশিত ভাবে মুখ্যমন্ত্রী বাদে ১৫ সদস্যের মন্ত্রিসভার সকলেই দলের নির্দেশে ইস্তফা দেন। সূত্রের মতে, গত দু’দশক ধরে ক্ষমতায় থাকায় বিজেপির বিরুদ্ধে গুজরাত জুড়েই প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া প্রবল। উঠেছে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ। শিক্ষা-স্বাস্থ্যের মতো বুনিয়াদি বিষয়গুলিতে অন্য রাজ্য থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে গুজরাত, অভিযোগ বিরোধীদের। যা নিয়ে প্রবল ক্ষোভ রয়েছে গ্রামীণ এলাকাতেও। নেতাদের স্বেচ্ছাচারিতায় ক্ষুব্ধ দলীয় কর্মীরা।
এ দিকে দু’বছর পরেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তাই দেরি না
করে মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দল। পরিবর্তে আজ ২৬ জনের নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেয়। যে দলে ডজন খানেক নতুন চেহারা। রাজনীতিকদের মতে, নতুন মুখ এনে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়ার ফানুস চুপসে দেওয়ার কৌশল নিতে চেয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
আগের মন্ত্রিসভার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাঙ্গভিকে যে ভাবে উপমুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছে, তা থেকে স্পষ্ট, আগামী দিনে তাঁর উপরে বাজি ধরতে চাইছেন দলীয় নেতৃত্ব।
হর্ষকে সরাসরি উপমুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছে। সূত্রের মতে, বর্তমান মু্খ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেলের এটাই সম্ভবত শেষ পর্ব। তাঁর জায়গায় তরুণ প্রজন্মকে তুলে ধরতেই হর্ষকে আনা হয়েছে। হর্ষের পাশাপাশি রিভাবার মতো একাধিক অপেক্ষাকৃত কম বয়সিকে মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়ে যুব প্রজন্মের কাছে ক্ষমতায়নের বার্তা দেওয়ার কৌশল নিয়েছে দল।