জ়ুবিনের মৃত্যু: অপরাধের ছায়া পায়নি সিঙ্গাপুর পুলিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি, ১৭ অক্টোবর: গায়ক জ়ুবিন গর্গের মৃত্যুতে অন্য কারও হাত রয়েছে বলে মনে করছে না সিঙ্গাপুর পুলিশ। এখনও পর্যন্ত হওয়া তদন্তের ভিত্তিতে এই কথা আজ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে তারা। সেই সঙ্গে সিঙ্গাপুর পুলিশ অসমবাসীকে অনুরোধ জানিয়েছে, এ নিয়ে যেন কোনও ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার না করা হয়। জনসাধারণকে ধৈর্য ধরতে বলে তারা এ-ও জানিয়েছে, তদন্ত শেষ করতে আরও তিন মাস লাগবে। তখন সব তথ্য প্রকাশ করা হবে। জ়ুবিনের মৃত্যুর তদন্তের জন্য হাই কোর্টের বিচারপতি সৌমিত্র শইকিয়ার নেতৃত্বে এক সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করেছে অসম সরকার।
সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে জ়ুবিনের যে ময়না তদন্ত হয়েছিল, সেখানে জলে ডুবে মৃত্যুর কথাই বলা হয়েছিল। গুয়াহাটিতে জ়ুবিনের দ্বিতীয় ময়না তদন্ত ও দিল্লিতে হওয়া ভিসেরা পরীক্ষাতেও বিষক্রিয়ার প্রমাণ মেলেনি বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর। কিন্তু জনরোষ কমছে না। অসম জুড়ে চলছে জ়ুবিনের জন্য ‘ন্যায়ের’ দাবিতে অনলাইনে হ্যাশট্যাগ অভিযান, এমনকি সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর সমাজমাধ্যমেও ওই হ্যাশট্যাগ স্লোগান লেখা হয়। ফলে তিনি ভারতে তাঁর পেজ অদৃশ্য রাখতে বাধ্য হন। এই পরিস্থিতিতে সিঙ্গাপুর পুলিশ আজ বিবৃতি দিয়ে জানায়, জ়ুবিনের মৃত্যুর তদন্ত সিঙ্গাপুরের করোনারের আইন অনুযায়ী করা হচ্ছে এবং প্রাথমিক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে কোনও অপরাধের সম্ভাবনা ধরা পড়েনি। ভারতীয় হাই কমিশনের অনুরোধে অটোপ্সি রিপোর্ট এবং প্রাথমিক অনুসন্ধানের ফলাফল হাই কমিশনকেও দেওয়া হয়েছে।
লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী আজ জ়ুবিনকে শ্রদ্ধা জানাতে অসমে আসেন। প্রথমে শেষকৃত্যস্থলে শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি জ়ুবিনের বাড়ি গিয়ে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। রাহুল বলেন, “এমন দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতিতে কখনও আসতে চাইনি।” সিকিমে কৈশোরের পর্বতারোহণের দিনগুলি স্মরণ করে তিনি বলেন, “জ়ুবিন ছিলেন অসমের কাঞ্চনজঙ্ঘা। তিনি ওই মহান পর্বতের মতোই সৎ, স্বচ্ছ, অচঞ্চল এবং সুন্দর। আমি তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা শুধু একটাই কথা বলেছেন— সত্যিটা যেন স্পষ্ট ভাবে প্রকাশ পায়। সরকারের দায়িত্ব হল দ্রুত ও স্বচ্ছ ভাবে তদন্ত করে পরিবারকে প্রকৃত সত্য জানানো।”
জ়ুবিনের মৃত্যুর প্রায় এক মাস পরে রাহুলের এই সফরকে মৃদু কটাক্ষ করে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেন, “যখন ভারতরত্ন ভূপেন হাজরিকার দেহ জনসাধারণের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য রাখা হয়েছিল, তখন তিন দিনেও দিল্লি থেকে কংগ্রেসের কোনও নেতা আসেননি। জ়ুবিনের ক্ষেত্রে অনেক দেরিতে হলেও অন্তত রাহুল যে এসেছেন, তা ভাল। আমি তাঁর সফরকে স্বাগত জানাই এবং এ নিয়ে কোনও রাজনৈতিক মন্তব্য করতে চাই না।”
মোদী-আব্দেলাত্তি আলোচনা দিল্লিতে
নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি, ১৭ অক্টোবর: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করলেন মিশরের বিদেশমন্ত্রী বদর আব্দেলাত্তি। শুক্রবারের এই বৈঠকে গাজ়া শান্তি চুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়ার জন্য মিশরের নেতৃত্বকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মোদী। ওই চুক্তি গোটা অঞ্চলে শান্তির রাস্তা খুলে দেবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে বাণিজ্য, প্রযুক্তি, শক্তি, প্রতিরক্ষা নিয়ে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার নানা ক্ষেত্রে অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মোদী। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে ভারত-মিশর কৌশলগত আলোচনায় বসেছিলেন মিশরের বিদেশমন্ত্রী।