নিয়মভঙ্গে দাবি কড়া জরিমানার, তবু প্রশাসন সীমিত প্রচারেই
নিজস্ব সংবাদদাতা
নির্দিষ্ট সময়ের পরে বাজি
ফাটালে এবং সবুজ বাজি ছাড়া
অন্য কোনও বাজি পোড়ালে
জরিমানা করা হোক। না-হলে শুধু বৈঠক করে লাভ হবে না— এই দাবিই উঠল খাস বহুতল আবাসনের বাসিন্দাদের একাংশের মধ্যে থেকে।
শুক্রবার রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের উদ্যোগে শহরের বিভিন্ন বহুতল আবাসনের বাসিন্দাদের সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল, আসন্ন কালীপুজো ও দীপাবলি উপলক্ষে সবুজ বাজি সংক্রান্ত নিয়মকানুন সম্পর্কে তাঁদের সচেতন করতে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ ও দমকলের প্রতিনিধিরাও। সেই বৈঠকেই এই দাবি তোলেন শহরের একটি বহুতলের এক বাসিন্দা।
কিন্তু হলে কী হবে, পর্ষদের তরফে সেই একই সচেতনতার বার্তা— বাজি না ফাটানোর অনুরোধের
কথাই শোনা গিয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশকর্মীদের একাংশের বক্তব্য, শব্দবাজির উপদ্রব আটকানোর জন্য নাগরিকদের
একাংশ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে জরিমানা ও কড়া শাস্তির কথা বললেও সেই পথে প্রশাসন আদৌ হাঁটবে কি?
ঘটনাচক্রে, এ দিনই পরিবেশকর্মীদের আরও একটি সংগঠন ‘সবুজ মঞ্চ’ এক সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করেছিল। সেই বৈঠকে ওই সংগঠন দাবি জানায়, কলকাতা, হাওড়া, আসানসোল-সহ একাধিক শহরে বাজির উৎপাদন, মজুত, বিক্রি, পরিবহণ ও ব্যবহার কার্যত প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এবং প্রশাসন যে সচেতনতার প্রচারে ব্যস্ত, তার ফলে বাস্তবে শব্দদূষণ ও বায়ুদূষণ রোধ হচ্ছে না।
সংগঠনের তরফে আরও জানানো হয়েছে, বাজি ও শব্দদূষণ
সংক্রান্ত কোনও ঘটনা নজরে এলে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন ৯২৩০৫৬৮৯০২ বা ৯৮৩০২৬৮৯০২ (শুধুমাত্র ওয়টস্যাপে) নম্বরে। বিভিন্ন জেলায় সবুজ মঞ্চের সদস্যেরা দিন-রাত নজরদারি চালাবেন বলে জানানো হয়েছে।