এসআইআর ঘোষণার আগেই প্রশাসনিক রদবদল
নিজস্ব সংবাদদাতা
প্রশাসনিক স্তরে প্রয়োজনীয় রদবদল হওয়া বাকি ছিল দীর্ঘদিন ধরেই। সোমবার বিকেলে জাতীয় নির্বাচন কমিশন এসআইআর ঘোষণা করার আগেই সেই রদবদল সেরে ফেলল রাজ্য সরকার। তার মধ্যে যেমন জেলাশাসকেরা রয়েছেন, তেমনই আছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (এডিএম), এসডিও-রাও। প্রশাসনিক সূত্রের ব্যাখ্যা, এসআইআর ঘোষণা হয়ে গেলে এমন রদবদলের ক্ষেত্রে কমিশনের অনুমতি নিতে হত। তাই সম্ভবত গত ২৪ অক্টোবর সই হয়ে থাকা বেশিরভাগ বদলি তালিকা প্রকাশ পেল এ দিন সকালে। দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারও এ দিন জানান, প্রশাসনিক রদবদল রাজ্যের বিষয়। তবে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর এমন রদবদলে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি প্রয়োজন হবে।
নবান্নের ওই বদলি নির্দেশিকা অনুযায়ী, উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক শরদ দ্বিবেদীকে বদলি করা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরে। সে জায়গায় পাঠানো হয়েছে শশাঙ্ক শেঠিকে। শেঠির হাতে থাকা হিডকোর এমডি পদে আনা হয়েছে মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্রকে। মুর্শিদাবাদের নতুন জেলাশাসক হয়েছেন মালদহের জেলাশাসক নিতিন সিংহানিয়া। সেখানে পাঠানো হয়েছে দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক প্রীতি গোয়েলকে। দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক করা হয়েছে মণীশ মিশ্রকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত বদলি হয়েছেন কলকাতা পুরসভার কমিশনার পদে। সেই জেলার জেলাশাসক করা হয়েছে কোচবিহারের জেলাশাসক অরবিন্দ মীনাকে। কোচবিহারের জেলাশাসক পদে পাঠানো হয়েছে রাজু মিশ্রকে। কলকাতা পুরসভার কমিশনার ধবল জৈন হয়েছেন বীরভূমের জেলাশাসক। সেই জেলার জেলাশাসক পদে থাকা বিধান রায়কে পাঠানো হয়েছে খাদ্য দফতরে। পুরুলিয়ার জেলাশাসক রজত নন্দা বদলি হয়েছেন পর্যটন দফতরের অধিকর্তা পদে। উনিস ইসমাইলকে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পদে বদলি করেছে নবান্ন। ওই জেলার জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বদলি হয়েছেন পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে। ঝাড়গ্রামের নতুন জেলাশাসক হয়েছেন আকাঙ্ক্ষা