মঞ্চে ফের সুজন, শিবপ্রসাদ
সাতাশ বছর পরে মঞ্চে ফিরছেন শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। বাদল সরকারের জন্মশতবর্ষে তাঁর লেখা নাটক ‘ভুল রাস্তা’ মঞ্চস্থ হতে চলেছে অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসে। তারই মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে সুজন মুখোপাধ্যায় এবং শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে।
চেতনার জন্মদিন উপলক্ষে প্রত্যেক বছরের মতো এ বছরও নাট্যোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। কলেজবেলায় করা নাটক এত দিন পরে ফিরিয়ে আনলেন কেন? জবাবে সুজন বললেন, “শিবুকে অনেক দিন ধরেই বলছিলাম এটা আবার করার কথা। এ বার বাদলবাবুর জন্মশতবর্ষ, দলের জন্মদিনও। এ বার না করলে আর হবে না, এটা বলার পরে ও রাজি হল। অনেক কষ্টে সময় বার করে রিহার্সাল করছি আমরা।” ‘বহুরূপী’, ‘আমার বস’-এর মতো ছবির মাধ্যমে অনেক দিন পরে বড় পর্দায় ফিরেছিলেন অভিনেতা শিবপ্রসাদ। দীর্ঘ দিন পরে এ বার থিয়েটারের মঞ্চে তাঁকে দেখবেন দর্শক। শিবপ্রসাদের কথায়, “আমাকে তো কেউ অভিনয়ে নেয় না এখন, সুজন আমার উপরে ভরসা করেছে আবার, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। এত দিন পর মঞ্চে উঠব, মনে হচ্ছিল পারব তো? তবে পরিচালক আমাকে ভরসা জুগিয়েছে। দেখা যাক, দর্শক কী বলেন...”
‘ভুল রাস্তা’ এক ঘণ্টার নাটক। প্রধানত মোনোলগ, সেটাকে দু’জনের অভিনয়ে ভাগ করে নিয়েছেন সুজন ও শিবপ্রসাদ। রাস্তায় গান গেয়ে রূপকথার গল্প বলা, শেষে পয়সা চাওয়ার মতো ফরম্যাটে এই নাটকটির পরিবেশনার কথা ভেবেছেন পরিচালক সুজন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন দুই বন্ধু ক্যাম্পাসে এই নাটকটা প্রথম বার করেছিলেন। পরে ‘চেতনা’র ব্যানারেও অ্যাকাডেমি-সহ কয়েকটি জায়গায় মঞ্চস্থ হয়েছিল। ১৯৯৮ সালে ‘মারীচ সংবাদ’-এর ২৫ বছর উপলক্ষে নন্দন চত্বরে আয়োজিত হয়েছিল একটি ওপেন এয়ার শো, সেখানেই শেষ বার অভিনীত হয় ‘ভুল রাস্তা’। রূপকথার মোড়কে জীবনের প্রতি মানবিক বার্তা দেয় নাটকটি।
ছাত্রাবস্থায় ও তার পরে বছর চারেক একসঙ্গে মঞ্চাভিনয় করেন সুজন-শিবপ্রসাদ। সেই সময়ে টেলিভিশনে ‘একুশে পা’ এবং ‘স্বপ্ন নিয়ে’ ধারাবাহিকেও তাঁরা একসঙ্গে কাজ করেছিলেন, যা জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। দীর্ঘ দিন পরে ফের মঞ্চে দুই বন্ধু।