মূল অভিযুক্ত চিহ্নিত,
রিপোর্ট দুর্গাপুর-ধর্ষণে
নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর: ডাক্তারি ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ‘টিআই প্যারেড’-এ অভিযুক্ত পাঁচ জনের শনাক্তকরণের রিপোর্ট আদালতে জমা দিল পুলিশ। সূত্রের দাবি, সে রিপোর্টে জানানো হয়েছে, দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ওই ছাত্রী পাঁচ জন ধৃতকে শনাক্ত করেছেন। এক জনকে তিনি মূল অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। পুলিশ সূত্রের খবর, নির্যাতিতাকে তাঁর ওড়িশার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে, তিনি ফের দুর্গাপুরে আসবেন।
মামলার বিশেষ সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় সোমবার বলেন, ‘‘মামলা ঠিক পথেই এগোচ্ছে। ফরেন্সিক-সহ কিছু রিপোর্ট এখনও আসা বাকি রয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব মামলার নিষ্পত্তি করার লক্ষ্যে কাজ করছে পুলিশ।’’
গত ১০ অক্টোবর রাতে সহপাঠী এক ছাত্রের সঙ্গে কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে বেরিয়ে ওই ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ। পুলিশ ওই সহপাঠী এবং লাগোয়া গ্রামের পাঁচ যুবক, মোট ছ’জনকে ধরে। সহপাঠী যেহেতু আগেই চিহ্নিত, তাই তাকে বাদ রেখে, আদালতের নির্দেশে গত ২৪ অক্টোবর দুর্গাপুর উপসংশোধনাগারে বাকি পাঁচ ধৃতের ‘টিআই প্যারেড’ করানো হয়।
পুলিশ সূত্রের দাবি, ঘণ্টাখানেক ধরে শনাক্তকরণ পর্বে নির্যাতিতা পাঁচ জনকেই চিহ্নিত করেন ও ঘটনার রাতে কার, কী ভূমিকা ছিল, তা জানিয়ে দেন।
নির্যাতিতার আইনজীবী পার্থ ঘোষের দাবি, ‘‘যে ধর্ষণ করেছে, নির্যাতিতা তাকে শনাক্ত করেছেন। বাকিরাও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। সবার বিরুদ্ধেই গণধর্ষণের মামলা চলবে।’’
সোমবার ধৃতদের আদালতে হাজির করানোর কথা ছিল। তবে এ দিন দুর্গাপুর আদালতে আইনজীবীদের কর্মবিরতি চলায়, ‘ভার্চুয়াল’ মাধ্যমে হাজিরা হয়। জামিনের আর্জি নাকচ করে, ধৃতদের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত
ফের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত।