পাঠাবেন ইলেকটোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ইআরও)। প্রতিটি আবেদন শোনার পরে আবেদনকারীর নাম থাকবে, না বাদ যাবে, সেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ইআরও-র সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জেলাশাসক এবং জেলাশাসকের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে আবেদন করা যাবে।
প্রশ্ন: চূড়ান্ত তালিকা কবে প্রকাশিত হবে?
কমিশন: ৭ ফেব্রুয়ারি।
প্রশ্ন: এ যাত্রায় কি আবেদন করতে পারবেন নতুন ভোটারেরা?
কমিশন: অবশ্যই করা যাবে। তবে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে। ১৮ বছর বা তার বেশি বয়স হতে হবে। কোনও আইনে ভোট দেওয়ার অধিকার বাতিল হলে চলবে না।
প্রশ্ন: কারা নিশ্চিন্ত?
কমিশন: ২০০২ সালে পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর-এর পরে যে তালিকা প্রকাশিত হয়, তাতে যাঁরা জীবিত রয়েছেন, তাঁরা এবং তাঁদের সন্তানেরা বৈধ ভোটার বলে গণ্য হবেন। তাঁদের কাগজ দেখাতে হবে না। যাঁরা জীবিত, তাঁরা ২০০২-এর ভোটার তালিকায় থাকা নিজের নাম বিএলও-দের দেখালেই হবে। যাঁদের পিতা-মাতার নাম রয়েছে, কিন্তু তাঁর নাম নেই, তাঁদের সে কথা ‘এনুমারেশন ফর্ম’-এ উল্লেখ করতে হবে। কোনও ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের নাম একটি রাজ্যে আর সন্তানের নাম (কর্মসূত্রে বা পড়াশোনার জন্য) অন্য রাজ্যে থাকলে, সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনে নিজেরাই বা বিএলও-দের সাহায্য নিয়ে ম্যাচিং করে নিতে পারবেন।
প্রশ্ন: বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের ভোটার, কিন্তু ২০০২ সালে রাজ্যে এসআইআর-এর সময়ে অন্য রাজ্যের বাসিন্দা ছিলেন— এ ক্ষেত্রে কী হবে? কিংবা উল্টো ক্ষেত্রে?
কমিশন: পশ্চিমবঙ্গের ২০০২-এর তালিকায় নাম না থাকা কেউ যদি দেখাতে পারেন, ওই সময় অন্য রাজ্যের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম ছিল, তা হলে সমস্যা হবে না। তাঁকে নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হবে না। কারণ, হতেই পারে, তখন চাকরি সূত্রে বা অন্য কারণে তিনি অন্য রাজ্যে থাকতেন। এখন পশ্চিমবঙ্গে থাকেন।
আবার অনেকেই রয়েছেন যে, বিশ বছর আগে পশ্চিমবঙ্গে থাকতেন, কিন্তু এখন অন্য রাজ্যে থাকেন। (সেই রাজ্যে এসআইআর হলে) ২০০২-এর ভোটার তালিকা অনুযায়ী ভোটার কার্ডের নম্বর, ভোটার তালিকায় ক্রম নম্বর, পার্ট নম্বর এসআইআর-এর এনুমারেশন ফর্মে লিখলেই হবে। একই ভাবে, কেউ যদি তাঁর বাবা-মায়ের নাম ২০০২-এ অন্য রাজ্যের ভোটার তালিকায় ছিল বলে দেখাতে পারেন, তা হলেও চলবে। নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য আর নথি দিতে হবে না। সব রাজ্যেই এই সুবিধা মিলবে।
প্রশ্ন: যাঁদের নিজেদের নাম বা বাবা-মায়ের নাম ২০০২-এর এসআইআরে নেই, তাঁদের কী হবে?
কমিশন: এঁদের নাম কেন পশ্চিমবঙ্গ বা অন্য কোনও রাজ্যের তালিকায় নেই, তা জানতে চাইবেন বিএলও। সন্তোষজনক উত্তর বা নথি দেখাতে ব্যর্থ হলে এঁদের নোটিস দেওয়া হবে। কমিশনের কাছে হাজিরায় কোনও যোগ্য ব্যক্তি যে সংশ্লিষ্ট নথিগুলি দেখাতে পারেন, সেগুলি হল:
ক) ১ জুলাই, ১৯৮৭ সালের আগে যাঁদের জন্ম, তাঁদের জন্মস্থান বা জন্মের তারিখ উল্লেখ রয়েছে— বক্সে উল্লিখিত ১১টির মধ্যে একটি আর আধার কার্ড হলে তার সঙ্গে দ্বিতীয় কোনও শংসাপত্র দিতে হবে। নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে যাঁদের ভারতে জন্ম, তাঁরা সকলে জন্মসূত্রে ভারতের নাগরিক।
খ) ১ জুলাই ১৯৮৭ থেকে ২ ডিসেম্বর ২০০৪-এর মধ্যে যাঁদের জন্ম, তাঁদের নিজেদের এবং বাবা বা মায়ের জন্মস্থান বা জন্ম তারিখ উল্লেখ রয়েছে— এমন শংসাপত্র জমা দিতে হবে।
গ) যাঁরা ২ ডিসেম্বর ২০০৪-এর পরে জন্মেছেন, তাঁদের নিজেদের পাশাপাশি বাবা ও মায়ের জন্মতারিখ বা জন্মস্থান উল্লেখ রয়েছে— এমন একটি শংসাপত্র দিতে হবে। কোনও ক্ষেত্রে বাবা বা মায়ের মধ্যে যদি কেউ এক জন ভারতীয় না হন, সে ক্ষেত্রে যিনি ভারতীয় নন, তাঁর পাসপোর্ট ও ভিসা (সন্তানের জন্মের সময়কার) আলাদা করে জমা দিতে হবে।
প্রশ্ন: কী আলাদা বিহারের থেকে?
কমিশন: বিহারের ক্ষেত্রে দু’দশক আগে যে এসআইআর হয়, তাতে ভোটারের নাম উল্লেখ করার স্থান ছিল, কিন্তু বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার সুযোগ ছিল না। এ যাত্রায় যা দেওয়ার সুযোগ থাকছে। বিহারের এসআইআরে ভোটারের বর্তমান ছবি লাগানোর সুযোগ ছিল না। এ যাত্রায় ভোটারের পুরনো ছবির (যা ছাপা থাকবে) পাশে নতুন ছবি লাগানো যাবে।