নাম সুপারিশ
}} উত্তরসূরি হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্তের নাম সুপারিশ করে কেন্দ্রকে চিঠি পাঠালেন প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই। সরকার তাঁর সুপারিশ মেনে নিলে ভারতের ৫৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেবেন বিচারপতি সূর্য কান্ত। আগামী ২৩ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি পদে মেয়াদ শেষ হচ্ছে বিচারপতি গাভাইয়ের। ওই পদে বিচারপতি সূর্য কান্তের ২০২৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থাকার কথা। বিচারপতি কান্ত বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের দ্বিতীয় প্রবীণতম বিচারপতি। প্রথা অনুযায়ী, তাঁরই পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হওয়ার কথা। নিয়ম মেনে গত সপ্তাহেই উত্তরসূরির বিষয়ে সুপারিশ চেয়ে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু সেই সময়ে সরকারি সফরে ভুটান গিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি। ফেরার পরেই সোমবার, দীপাবলির ছুটির পরে আদালতের প্রথম কার্যদিবসেই সরকারকে সুপারিশের চিঠি পাঠিয়েছিলেন তিনি। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ, রাষ্ট্রদ্রোহ আইন, নির্বাচনী বন্ড-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলায় বেঞ্চের সদস্য ছিলেন বিচারপতি সূর্য কান্ত।
উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্ট
}} ‘ডিজিটাল গ্রেফতারি’র কথা বলে সাইবার প্রতারণার ঘটনা বেড়ে চলা নিয়ে উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার শীর্ষ আদালত প্রতিটি রাজ্যকে নোটিস দিয়ে জানতে চেয়েছে, এমন মামলা কোথায় কতগুলি রয়েছে। পুলিশ, কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা বা শুল্ক দফতরের গোয়েন্দার পরিচয় দিয়ে প্রতারকেরা ‘ডিজিটাল গ্রেফতারি’র কথা বলে বাধ্য করে সারাক্ষণ ক্যামেরা চালু করে অনলাইন থাকতে। এ ভাবে টানা গৃহবন্দি রেখে তার পরে ছুতোয়নাতায় টাকা হাতিয়ে নেয়। এই ধরনের প্রচুর অভিযোগ নিয়মিত উঠে আসে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। হরিয়ানার এক প্রৌঢ়াকে আদালতের ভুয়ো নির্দেশ দেখিয়ে এই ভাবে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে সম্প্রতি। তার পরেই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পদক্ষেপ করেছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চে সোমবার সেই শুনানি হয়েছে। এই বিষয়ে তদন্তের দায়িত্ব সিবিআইকে দেওয়ার কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে বলে বিচারপতিরা জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, শীর্ষ কোর্টের নজরদারিতে তদন্ত হতে পারে। মামলাটির পরবর্তী শুনানি আগামী ৩ নভেম্বর।
বিতর্কে উপরাষ্ট্রপতি
}} নতুন উপরাষ্ট্রপতি সিপি রাধাকৃষ্ণন তাঁর প্রথম বিদেশ সফরে রবিবার সেশেলস পৌঁছেছেন। সে দেশের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট প্যাট্রিক হেরমিনির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন তিনি। সোমবার বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর হয়ে তাঁকে ভারতে আমন্ত্রণের চিঠি উপরাষ্ট্রপতি তুলে দিয়েছেন হেরমিনির হাতে। বিরোধীদের অভিযোগ, বিষয়টি প্রোটোকলের লঙ্ঘন। তাদের বক্তব্য, উপরাষ্ট্রপতির পদমর্যাদা প্রোটোকল অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর আগে। তিনি সরকারের অথবা দেশবাসীর বার্তা বা চিঠি বহন করে অন্য রাষ্ট্রপ্রধানের হাতে দিতে পারেন ঠিকই। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর চিঠি বহন করে নিয়ে যেতে পারেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিরোধীদের একাংশের বক্তব্য, নরেন্দ্র মোদীর জমানায় তিনিই শেষ কথা। তারই প্রতিফলন
দেখা যাচ্ছে।
মোদীর জন্য
}} ছটপুজোর আবহেও তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য ‘কৃত্রিম’ যমুনা ঘাট বানানোর অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। আম আদমি পার্টির (আপ) অভিযোগ, ছট উদ্যাপনে এসে প্রধানমন্ত্রীর যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তাই দিল্লিতে পরিস্রুত জলে ভরা ওই ঘাট তৈরি করেছে বিজেপি। সোমবার এক্স মাধ্যমে অরবিন্দ কেজরীওয়াল লেখেন, সাধারণ মানুষ যেখানে যমুনার দুষিত জলে যেতে কার্যত বাধ্য হচ্ছেন, সেখানে মোদীর জন্য এমন ব্যবস্থার করে ছট উৎসবের ‘পবিত্রতা’ নষ্ট
করছে বিজেপি।
কারুর: ফের বিতর্ক
}} চেন্নাইয়ে টিভিকের সভায় পদপিষ্ট হয়ে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে সোমবার দেখা করলেন অভিনেতা-রাজনীতিবিদ বিজয়। তবে এই সাক্ষাতের পর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিরোধীদের অভিযোগ, বিজয়েরই উচিত ছিল মৃতদের পরিবারের কাছে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে দেখা করা।