পথকুকুর মামলায় তলব
নয়াদিল্লি, ২৭ অক্টোবর: পথকুকুর মামলায় পশ্চিমবঙ্গ ও তেলঙ্গানা বাদে বাকি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবকে তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। পথকুকুরের ক্ষেত্রে পশু জন্মনিয়ন্ত্রণ বিধি প্রয়োগ করতে রাজ্যগুলি কী কী পদক্ষেপ করেছে তা জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ২২ অগস্ট এক নির্দেশে এ নিয়ে সব রাজ্যকে হলফনামা দিতে বলে বিচারপতি বিক্রম নাথ, বিচারপতি সন্দীপ মেহতা ও বিচারপতি এন ভি আনজারিয়ার বেঞ্চ।
আজ এই মামলার শুনানির সময়ে ক্ষুব্ধ বিচারপতিরা বলেন, কেবল পশ্চিমবঙ্গ, তেলঙ্গানা ও দিল্লি পুরসভার তরফে হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছে। অন্য রাজ্যগুলির তরফে কোনও আইনজীবীও উপস্থিত নেই। ফলে আগামী সোমবার ওই রাজ্যগুলির মুখ্যসচিবকে হাজির হয়ে হলফনামা না দেওয়ার ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বেঞ্চ।
দিল্লির পথকুকুর নিয়ে সমস্যার প্রেক্ষিতে ১১ অগস্ট বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালার বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, দিল্লি, নয়ডা, গুরুগ্রাম, গাজ়িয়াবাদ থেকে সব পথকুকুরকে নির্দিষ্ট আশ্রয়স্থল বা শেল্টারে সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। পশুপ্রেমী-সহ বিভিন্ন শিবির থেকে এই রায়ের প্রতিবাদ করা হয়। প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাইকে চিঠি লেখেন অভিনেতা জন আব্রাহাম। সরব হন রাহুল গান্ধী-সহ রাজনীতিকদের একাংশও।
এর পরেই প্রধান বিচারপতি গাভাই বিচারপতি বিক্রম নাথের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চে মামলা সরিয়ে দেন। ২২ অগস্ট বিচারপতি নাথের বেঞ্চ ওই নির্দেশিকা স্থগিত রাখে। যে সব পথকুকুরকে শেল্টারে সরানো হয়েছিল সেগুলিকে চিকিৎসা ও টিকাকরণের পরে ফের যে এলাকা থেকে তাদের সরানো হয়েছিল সেই এলাকায় ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় বেঞ্চ। কেবল রেবিসে আক্রান্ত, রেবিসে আক্রান্ত হতে পারে ও আগ্রাসী আচরণ রয়েছে এমন কুকুরগুলিকে শেল্টারেই রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
পাশাপাশি মামলার পরিধি বাড়িয়ে গোটা দেশকেই তার পরিধিতে নিয়ে আসে বেঞ্চ।
আজ স্পষ্টতই ক্ষুব্ধ বিচারপতি নাথ বলেন, বারবার নানা ঘটনা (পথকুকুর সংক্রান্ত) ঘটছে। অন্য দেশের চোখে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘আমরাও সংবাদ পড়ি।’’
মূলত দিল্লির সমস্যা নিয়েই মামলা শুরু হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু সেই দিল্লি সরকারও হলফনামা দেয়নি। বিচারপতি নাথ অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল অর্চনা পাঠককে প্রশ্ন করেন, ‘‘দিল্লি সরকার হলফনামা দেয়নি কেন? মুখ্যসচিবকে এর ব্যাখ্যা দিতে হবে। তা না হলে অর্থদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হবে। করা হবে কড়া পদক্ষেপও।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আপনাদের অফিসারেরা সংবাদপত্র বা সমাজমাধ্যম দেখেন না? এই নির্দেশের কথা ব্যাপক ভাবে
প্রচারিত হয়েছিল।’’ সংবাদ সংস্থা