বৃদ্ধি সত্ত্বেও উদ্বেগ, বলছে অর্থ মন্ত্রক
নিজস্ব প্রতিবেদন
আয়কর কাঠামোয় রদবদলের ফলে সাধারণ মানুষের হাতে উদ্বৃত্ত অর্থ বেড়েছে। আর জিএসটির হার পরিবর্তনের ফলে কমেছে জিনিসপত্রের দাম। এর ফলে দেশের বাজারে চাহিদা আরও চাঙ্গা হয়েছে। এই সব মিলিয়ে চলতি অর্থবর্ষে (২০২৫-২৬) ভারতীয় অর্থনীতিতে শক্তি বজায় থাকার লক্ষণ আরও স্পষ্ট হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের মাসিক আর্থিক রিপোর্টে। তবে একই সঙ্গে বিশ্ব অর্থনীতির কিছু দুর্বলতা এবং ভারতের তার সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কেও সতর্ক থাকার বার্তা রিপোর্টে রয়েছে।
গত কয়েক মাস ধরে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের উপরে দফায় দফায় আমদানি শুল্ক চাপিয়ে চলেছেন। ভারতীয় পণ্যে চেপেছে ৫০%। সোমবার অর্থ মন্ত্রকের প্রকাশ করা রিপোর্টে দাবি, বাণিজ্য সংক্রান্ত সমস্যার মধ্যেও বিশ্ব অর্থনীতির কর্মকাণ্ড এখনও পর্যন্ত বিশেষ ব্যাহত হয়নি। আইএমএফের পূর্বাভাস, ২০২৫ সালে বিশ্বের জিডিপি বৃদ্ধির হার দাঁড়াতে পারে ৩.২%। ভারতের ক্ষেত্রে অর্থবর্ষে তা বাড়িয়ে ৬.৬% করেছে তারা। কিন্তু রিপোর্টের সতর্কবার্তা, বিশ্ব অর্থনীতির এই বৃদ্ধি প্রাথমিক ভাবে তার অনেক কাঠামোগত দুর্বলতাকে ঢেকে রেখেছে। আমেরিকায় তেল ও জ্বালানি বাদে মূল্যবৃদ্ধির হারে (কোর ইনফ্লেশন) বৃদ্ধির লক্ষণ স্পষ্ট। চিন্তা রয়েছে বেকারত্বের হার নিয়েও। চিনের রফতানি বৃদ্ধির হার কমছে। ইউরোপের অর্থনীতি কার্যত স্থির। এই সমস্ত কিছুর প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতিতে পড়লে, তার প্রভাব ভারতের পক্ষেও এড়িয়ে থাকা কঠিন।