তেল-সয়াবিন নিয়ে আমেরিকার বায়না
নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি, ২৭ অক্টোবর: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখোমুখি সাক্ষাৎ হল না মালয়েশিয়ার আসিয়ান সম্মেলনে। তবে উভয়ের হয়ে দৌত্য করলেন আমেরিকার বিদেশ সচিব মার্কো রুবিয়ো এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয় দু’জনের। বৈঠকের পরে এক্স-এ পোস্ট করে জয়শঙ্কর লেখেন, ‘কুয়ালালামপুরে আজ সকালে মার্কো রুবিয়োর সঙ্গে সাক্ষাৎ ফলপ্রসু এবং আনন্দদায়ক। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাশাপাশি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
কূটনৈতিক সূত্রের খবর, রুবিয়োর সঙ্গে পার্শ্ববৈঠকে অবধারিতভাবে এসেছে বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে দর কষাকষির প্রসঙ্গ। ভারতীয় পণ্যের শুল্ক ১৫ শতাংশ করার বিষয়টি মোটের উপর মেনে নিয়েছে আমেরিকা। কিন্তু রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য বাড়তি ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্ক মকুব করার বিনিময়ে ওয়াশিংটন চাইছে, নয়াদিল্লি ঘোষণা করুক তারা মস্কো থেকে তেল আমদানি শূন্যে নামাচ্ছে। রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমালেও এই ঘোষণা নিয়ে ভারতের আপত্তি রয়েছে। যদিও এই নিশ্চয়তা আমেরিকাকে দেওয়া হয়েছে, তারা আমেরিকা থেকে তেল কেনা অনেকটাই বাড়াবে।
সূত্রের খবর, আরও একটি বিষয় উঠে এসেছে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায়। আমেরিকা থেকে ভুট্টা আমদানির ক্ষেত্রে নমনীয়তা দেখিয়েছে নয়াদিল্লি, এমনটাই খবর। এ বার আমেরিকার বাণিজ্য কর্তারা চাইছেন, আমেরিকার সয়াবিনও সহজ শুল্কে ভারতের বাজারজাত করতে। এ ব্যাপারে সমস্যার কথা সাউথ ব্লক বোঝাতে চেষ্টা করছে ওয়াশিংটনকে। কারণ, এটি এ দেশের কৃষক স্বার্থের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। এই সম্ভাবনা আঁচ করে দেশের কৃষিস্বার্থ রক্ষার্থে আন্দোলনকারীরা ইতিমধ্যেই নড়েচড়ে বসেছেন। রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণে বিষয়টিতে সায় এখনও দেয়নি মোদী সরকার।
রুবিয়ো ছাড়াও বিদেশমন্ত্রী আজ বৈঠক করেন মালয়েশিয়ার বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ হাজি হাসান
এবং নিউজ়িল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লাক্সনের সঙ্গে। জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ার সঙ্গে মায়ানমার পরিস্থিতি নিয়েও মত বিনিময় হয়েছে। লাক্সনের সঙ্গে বৈঠকে ‘স্বাধীন ও উন্মুক্ত ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল’ গঠনে সহায়তা নিয়ে আলোচনা হয়।