ফের জাতিবিদ্বেষ, ব্রিটেনে ধর্ষিত ভারতীয় মহিলা
লন্ডন, ২৭ অক্টোবর: আবার ধর্ষণ। আবার ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস। এবং আবারও জাতিবিদ্বেষের অভিযোগ।
সেপ্টেম্বর মাসে ব্রিটেনের ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস-এর ওল্ডবারি এলাকায় এক শিখ মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। এ বার ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস-এরই ওয়ালসাল এলাকায় ধর্ষণের অভিযোগ এসেছে। স্থানীয় শিখ সংগঠনের মতে, এই মহিলাও পঞ্জাবি বংশোদ্ভূত। পর পর দুই মাসে দুই ভারতীয় নারীর ধর্ষণের পিছনেই জাতিবিদ্বেষ বড় ভূমিকা নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ নিজেই সে কথা স্বীকার করেছে।
ঘটনাটি শনিবার সন্ধ্যার। রাস্তার মাঝখানে এক মহিলাকে ধ্বস্ত অবস্থায় বসে থাকতে দেখা গিয়েছে বলে খবর পেয়ে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। সোমবার প্ররধান সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তকারী পুলিশ কর্তা রোনান টাইরার রবিবারই বলেছিলেন, ‘‘অপরাধীকে গ্রেফতার করার জন্য আমরা সব রকম চেষ্টা করছি।’’ সিসিটিভি ফুটেজ থেকে পুলিশ সন্দেহভাজনের একটি ছবি প্রকাশ করে। ছবি দেখে তিরিশের কোঠায় বয়স এক শ্বেতাঙ্গকে বোঝা যাচ্ছে। ছোট চুল, পরনে গাঢ় রঙের পোশাক। নির্যাতিত মহিলার বয়স কুড়ির কোঠায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে তথ্য দিয়ে সাহায্য করার আবেদন জানিয়েছিল পুলিশ। গাড়ির ক্যামেরায় ওঠা ছবি বা অন্যান্য সিসিটিভি ফুটেজ যদি কারও কাছে থাকে, পুলিশকে দিতে বলা হয়। সোমবার অবশেষে যুবকটি ধরা পড়ে।
জাতিবিদ্বেষ ছাড়া অন্য কোনও উদ্দেশ্য এই অপরাধের পিছনে নেই বলেই মনে করছে পুলিশ। গত মাসে জাতিবিদ্বেষের বশবর্তী হয়েই ধর্ষণ করা হয়েছিল এক শিখ মহিলাকে। ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস-এ বার বার এ ধরনের ঘটনা কেন ঘটছে, ব্রিটেনে কেন বাড়ছে জাতিবিদ্বেষ— এই প্রশ্ন নিয়ে যথেষ্ট শোরগোল তৈরি হয়েছে। ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস-এ
ভারতীয় পরিবারগুলির মধ্যে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। কভেন্ট্রি সাউথ আসনের এমপি জ়ারা সুলতানা এক্স হ্যান্ডলে পরপর দু’টি ঘটনার কথাই উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘‘এর থেকেই বোঝা যায় জাতিবিদ্বেষ আর নারীবিদ্বেষ
কী ভাবে একে অপরকে পুষ্ট করে। নিজে বাদামি চামড়ার মানুষ হয়ে জানি, এই আতঙ্কটা ঠিক কতখানি বাস্তব। জাতিবিদ্বেষ, ফ্যাসিবাদ আর নারীবিদ্বেষের বিরুদ্ধে আমাদের একযোগে রুখে দাঁড়াতেই হবে।’’ শাসক দল লেবারের এমপি প্রীতি কৌর গিলও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। এক্স হ্যান্ডলে তিনিও লিখেছেন, ‘‘আরও একটা জাতিবিদ্বেষজনিত ধর্ষণের ঘটনায় গভীর ভাবে আহত এবং বেদনার্ত।’’
সংবাদ সংস্থা