রেললাইনের ধারে পড়ে দেহ, দেখতে গিয়ে আরও একটি মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা
বিধাননগর রোড এবং দমদম স্টেশনের মাঝে আধ ঘণ্টার ব্যবধানে জোড়া দুর্ঘটনায় দুই ব্যক্তির মৃত্যু হল। প্রথম ঘটনাটি ঘটে সোমবার দুপুর ২টো নাগাদ। তার কিছু পরেই দ্বিতীয় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
রেল পুলিশ সূত্রের খবর, দুই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ট্রেনের ধাক্কায় যে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, তাঁর
পরিচয় রাতে জানা যায়। তাঁর নাম বিশ্ব দাস (৫০)। বাড়ি স্বরূপনগরে। অপর ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। তাঁর
আনুমানিক বয়স ২৫ বছর। রেল পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন আপে এক নম্বর লাইন দিয়ে বিধাননগর রোড স্টেশন ছেড়ে দমদমের দিকে একটি ট্রেন কিছুটা এগোতেই সেটির ধাক্কায় মৃত্যু হয় বিশ্বের। তিনি তখন রেললাইন পার হচ্ছিলেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান রেল পুলিশের আধিকারিক ও কর্মীরা।
এর ঠিক ২৫ মিনিট পরে বিধাননগর রোডের দিক থেকে তিন নম্বর লাইন ধরে একটি ট্রেন দমদমের দিকে আসছিল। রেলযাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, ট্রেনের ধাক্কায় যিনি মারা গিয়েছেন, সেই যাত্রীর দেহ তখনও পড়ে ছিল রেললাইনের ধারে। ট্রেন থেকে শরীর
বার করে রেললাইনের ধারে পড়ে থাকা ওই ব্যক্তির দেহ দেখতে গিয়েছিলেন এক যাত্রী। মূহূর্তের অসতর্কতায় তিনি রেল সেতুর স্তম্ভে ধাক্কা খেয়ে সোজা নীচে খালে পড়ে যান।
এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনাস্থলে যান রেল পুলিশের আধিকারিক ও কর্মীরা। স্থানীয়
সূত্রের খবর, খালে দেহ পড়ার পরে সেটি লেক টাউন না কি উল্টোডাঙা
থানার অধীনে, তা নিয়ে টানাপড়েন চলে। পরে রেল পুলিশ ওই ব্যক্তির
দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, একটি দেহ ২৫ মিনিট পড়ে থাকলেও তা
উদ্ধার করার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত
তৎপরতা দেখা যায়নি। যদিও অভিযোগ মানতে চায়নি রেল পুলিশ।
গৌতম সমাদ্দার নামে এক যাত্রীর কথায়, ‘‘বার বার সতর্ক করলেও ঝুলে যাওয়া কিংবা দরজা থেকে বাইরের দিকে ঝুঁকে
দেখার প্রবণতা বন্ধ হয়নি। কত জন এ ভাবে প্রাণ হারালেন!’’
রেল পুলিশের এক আধিকারিক জানান, কিছু সময়ের ব্যবধানে দু’টি দুর্ঘটনা ঘটে। দ্বিতীয় ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।