পাক বিমান
পাকিস্তানের একাধিক উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বিমান ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। পাকিস্তানের ক’টি বিমান ধ্বংস হয়েছে, সেই সংখ্যা জানাতে চাননি ভারতী। তিনি বলেন, “আমরা বেশ কয়েকটি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানকে পাল্টা হামলায় নামিয়েছি। পাকিস্তানের ক’টা যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে সেই সংখ্যা আমার কাছে রয়েছে। কিন্তু এখন সেই ধ্বংস হওয়া যুদ্ধবিমানগুলির প্রযুক্তিগত তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। তাই এই মুহর্তে কোনও সংখ্যা বলার পক্ষে নই।”
শত্রু যুদ্ধবিমান নামালেও সেগুলির ধ্বংসাবশেষ ভারতের কোথাও পড়েনি বলেই জানিয়েছেন এয়ার মার্শাল। তাঁর কথায়, “পাকিস্তানের যুদ্ধবিমানকে সীমান্ত পেরোতে দেওয়া হয়নি। ফলে ধ্বংসাবশেষ যা পড়েছে, তা পাকিস্তানের দিকে পড়েছে, আমাদের দিকে নয়।” পশ্চিম সীমান্তে থাকা ভারতীয় আকাশ প্রতিরোধী ব্যবস্থার নিখুঁত লক্ষ্যভেদ দেখে পাকিস্তানি বায়ুসেনা ভারতের সীমান্ত পেরোনোর সাহস দেখায়নি বলেই জানিয়েছে সেনা। সেনার মতে, ওই ব্যবস্থা না থাকলে সীমান্ত পেরিয়ে আক্রমণের ঝুঁকি নিত পাক বিমানবাহিনী।
পাকিস্তানের দাবি, তারা ভারতের একাধিক রাফালকে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। সত্যিই রাফালের মতো আধুনিক বিমান নষ্ট হয়েছে কি না, সেই প্রশ্নের সরাসরি কোনও জবাব দেননি ভারতী। তিনি বলেন, “আমরা যুদ্ধের মধ্যে রয়েছি। ফলে ক্ষতি হবেই। প্রশ্ন হওয়া উচিত, জঙ্গি শিবির ধ্বংস করার লক্ষ্য আমরা ছুঁতে পেরেছি কি না। (এটুকু বলতে পারি) আমাদের সব পাইলট নিরাপদে ঘরে ফিরে এসেছেন।” আজ বায়ুসেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের হামলার জবাবে ভারতীয় বায়ুসেনা সে দেশের একাধিক বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলা চালায়। যাতে পাসুর, চুনিয়ান, আরিফওয়ালা ঘাঁটির এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা, সারগোদা, রহিম ইয়ার খান, চাকলালা (নুর খান), শুকুর ও ভোলারি ঘাঁটিতে বোমা ফেলে রানওয়ে নষ্ট করে দেওয়া হয়। জ়াকোকাবাদে অ্যানম্যানড এরিয়াল ভেহিক্যাল (ইউএভি) রাখার হ্যাঙ্গারও ধ্বংস করে দিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা।