শীর্ষ নেতৃত্বের সর্বদল বৈঠক চান মমতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি, ২৫ এপ্রিল: পহেলগাম কাণ্ড নিয়ে দ্রুত সর্বদলীয় শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক চাইছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার যে বৈঠকটি হয়েছে, তাকে নিছকই সংসদীয় দলের বৈঠক বলেই দেখছেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। সেখানে তৃণমূলের তরফে যোগ দিয়েছিলেন লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে স্পষ্ট জানিয়েছেন নেত্রীর দাবির কথা। তাঁর বক্তব্য, কাশ্মীরে যা ঘটেছে, তা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। তাই তাঁর দাবি, প্রত্যেকটি দলের শীর্ষ নেতাকে সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বসা উচিত। সরকার কী করতে চলেছে, তা জানানো উচিত। সংসদীয় নেতাদের নিয়ে বৈঠক করার বিষয় এটি নয়, কারণ এটা শুধু সংসদীয় সমস্যা নয়, গোটা দেশের সমস্যা।
রাজনৈতিক শিবিরের মতে, তৃণমূলের দাবি পহেলগাম কাণ্ডের আগে থেকেই বাংলায় মেরুকরণের প্রয়াস চালাচ্ছে বিজেপি ও সঙ্ঘ। এর পর কাশ্মীরে বেছে বেছে হিন্দু নিধনের পরে গোটা দেশের মতোই সংখ্যালঘুদের প্রতি সার্বিক দ্বেষ ছড়িয়ে পড়ছে রাজ্যেও। শুভেন্দু অধিকারীর মতো অনেকেই রাজ্য সরকারকে নিশানা করে বিভাজন করছেন— এমন অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে মমতা উপস্থিত থাকলেই কি এই বিভাজন রোখা যাবে? রাজনৈতিক শিবিরের মতে, প্রধানমন্ত্রী যাতে পাকিস্তান সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের কৃতিত্ব নিজে নিয়ে ভোট প্রচারে যেতে না পারেন, সে জন্য সমস্ত আঞ্চলিক দলের নেতানেত্রীর সেই সিদ্ধান্তে সিলমোহর চাইছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। যাতে তাঁরাও বিষয়টির অংশীদার হতে পারেন।
দলীয় নেতৃত্বের বক্তব্য, দেশের এত বড় সঙ্কটের কথা বিভিন্ন দলের নেতাদের জানানো হবে না কেন? মমতার পাশাপাশি এম কে স্ট্যালিন, তেজস্বী যাদব এবং ওমর আবদুল্লাও থাকতে পারছেন না শুধুমাত্র সংসদীয় দলের নেতাদের ডাকলে। দলের বক্তব্য, মমতাকে ডাকা বিশেষ করে দরকার, কারণ এই রাজ্যে আন্তর্জাতিক সীমান্তও রয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সখ্য এখন সবার চোখের সামনে। তাই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে কোনও পদক্ষেপ রাজ্যকে জানিয়ে করা উচিত বলেই দাবি তৃণমূলের।