বাণিজ্য বন্ধে উদ্বেগ কম
নিজস্ব প্রতিবেদন
কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গিরা ভারতীয় পর্যটকদের গুলি করে হত্যা করার পরে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়েছে নয়াদিল্লি। দু’দেশের বাণিজ্যের একমাত্র স্থলবন্দর আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ করেছে। উল্টো দিকে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করেছে পাকিস্তানও। ফলে দু’পক্ষের আমদানি-রফতানি পুরোপুরি বন্ধ হচ্ছে বলে জানিয়েছে ভারতে রফতানিকারীদের সংগঠন ফিয়ো। তবে তাদের দাবি, এতে এ দেশের রফতানিতে প্রভাব পড়বে অতি সামান্য। কারণ, দু’দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ এমনিতেই খুব কম। একাংশের মতে, কিছুটা বরং সমস্যায় পড়তে পারে পাকিস্তান। সে ক্ষেত্রে অন্য দেশ থেকে ভারতের পণ্য বেশি দামে কিনতে হবে তাদের।
ফিয়ো জানিয়েছে, ২০১৯-এ পুলওয়ামায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপর পাকিস্তানি জঙ্গি হামলার পর থেকেই দু’দেশের বাণিজ্য কমেছে। বৈদেশিক বাণিজ্যে পছন্দের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ইসলামাবাদে। ফিয়োর ডিরেক্টর জেনারেল অজয় সহায় জানান, এ দেশের মোট বৈদেশিক বাণিজ্যের মাত্র ০.০৬% হয় তাদের সঙ্গে। ছোট শিল্পের সংগঠন ফসমির সভাপতি বিশ্বনাথ ভট্টাচার্যও মনে করেন, আটারি সীমান্ত বন্ধের ফলে তেমন ক্ষতি হবে না। তাঁর কথায়,
‘‘পাকিস্তান থেকে সরাসরি সে রকম পণ্য এ দেশে আসে না। মূলত দুবাই থেকে ঘুরপথে আসে। পোশাক, মশলা,
ছোট যন্ত্রাংশ কিছু আসে। কিন্তু তা বড় প্রভাব ফেলবে না ভারতের ছোট শিল্পের উপরে।’’ সহায়ের মতে, খুব সহজে পাকিস্তানের বিকল্প বাজার খুঁজে পাবে রফতানিকারীরা।
ফিয়োর পূর্বাঞ্চলের চেয়ারম্যান যোগেশ গুপ্তের বার্তা, “পাকিস্তানের সঙ্গে বৈদেশিক বাণিজ্য বন্ধ করা নিয়ে আমরা আদৌ চিন্তিত নই।’’ ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য রফতানি সংস্থা নিপা এক্সপোর্টসের ডিরেক্টর রাকেশ শাহ বলেন, ‘‘বাংলাদেশ বা নেপালের সঙ্গে তুলনায় বেশি বাণিজ্য হয়। বরং পর্যটন শিল্পের বড় ক্ষতি হল।’’ তবে আটারি দিয়ে আফগানিস্তান-ভারত বাণিজ্যও চলে। ফলে তা-ও বন্ধ হয়েছে। তবে বার্তা, খুলতে পারে সমুদ্রপথ।