ইডেনে শ্রেয়সই ‘রাজা’, জেতার আশ্বাস মইনের
নিজস্ব সংবাদদাতা
শ্রেয়স আয়ারকে ভোলেনি ইডেন। গত বার তাঁর নেতৃত্বে আইপিএল জেতে কলকাতা নাইট রাইডার্স। শনিবার কেকেআরের বিরুদ্ধে টস করতে নামবেন তিনি। কিন্তু ইডেনের দর্শকেরা কি তাঁকে এত সহজে ভুলতে পারেন? শ্রেয়সকে দেখে ‘ক্যাপ্টেন... ক্যাপ্টেন...’ ধ্বনি তুলে নাইটদের সমর্থকেরা হয়তো মনে করিয়ে দিতে চাইলেন, কেকেআর ভুলে গেলেও তাঁরা শ্রেয়সকে ভোলেননি।
দর্শকদের ভালবাসার মর্যাদা রাখলেন তিনিও। অটোগ্রাফ থেকে নিজস্বীর আবদার মেটালেন। নিজেই ফোন নিয়ে দর্শকদের সঙ্গে ছবি তুললেন। দেখে মনে হচ্ছিল, শ্রেয়স যেন এখনও কেকেআরের অধিনায়ক। তিনিই যেন ইডেনের ‘রাজা’।
পঞ্জাবের স্পিন বোলিং কোচ সুনীল জোশি জানিয়েছেন, কেকেআর ম্যাচটি বাকি পাঁচটি খেলার মতোই দেখছেন শ্রেয়স। বলছিলেন, ‘‘ও দলের প্রত্যেক ক্রিকেটারের সঙ্গে ভাল ভাবে মিশে গিয়েছে। নেট বোলারদের সঙ্গেও ওর সম্পর্ক অসাধারণ। শ্রেয়স আদর্শ অধিনায়কের ভূমিকা পালন করছে।’’ যোগ করেন, ‘‘কেকেআর ম্যাচকে ও বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে না। বাকি পাঁচটি ম্যাচের মতোই দেখা হচ্ছে। আমরা জিততে চাই।’’
পঞ্জাব কিংসের ব্যাটসম্যানদের স্পিন বোলিংয়ের বিরুদ্ধে উন্নত করে তোলার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন শ্রেয়স। মুম্বইয়ের অভিজ্ঞ অফস্পিনার তনুশ কোটিয়ানকে নেট বোলার হিসেবে নিয়ে আনা হয়েছে। শ্রেয়সই টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলে তাঁকে দলের সঙ্গে যুক্ত করেছেন।
পঞ্জাব শিবিরের আত্মবিশ্বাসের কোনও অভাব লক্ষ্য করা গেল না। অনুশীলনের সময় শ্রেয়সদের নেট থেকে উচ্ছ্বাসের আওয়াজ ভেসে আসছিল। কলকাতা শিবিরে তখন দশমীর নিঃস্তব্ধতা। একেবারে থমথমে পরিবেশের মধ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন রাসেলরা। মইন আলিও মেনে নিয়েছেন, নাইট শিবিরে
আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে। এই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। তবে কেকেআর নাকি মুম্বই ইন্ডিয়ানসকে দেখে অনুপ্রাণিত। টানা চারটি ম্যাচ জিতেছেন হার্দিক পাণ্ড্যরা। মইন জানিয়েছেন, মুম্বই পারলে তাঁরা কেন পারবেন না? অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারের কথায়, ‘‘নীচের সারির ব্যাটসম্যানেরা ভাল খেলতে পারছে না। এই নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট কথা বলেছে। আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে দলের মধ্যে।’’ যোগ করেন, ‘‘তবে এতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। আমাদের ব্যাটিংয়ে গভীরতা আছে।’’
মইন আরও বলেছেন, ‘‘আইপিএলে অনেক রকম চমক দেখা যায়। মুম্বইও শুরুর দিকে ভাল খেলছিল না। কিন্তু শেষ চারটি ম্যাচ জিতেছে। আমরাও সে রকম কিছু করে দেখাতেই পারি।’’
মইনকে প্রশ্ন করা হয়, পরপর ব্যর্থতার পরে তাঁদের কি বিশেষ কোনও বার্তা দেওয়া হয়েছে? মইনের উত্তর, ‘‘লিগ তালিকা না দেখে প্রত্যেকটি ম্যাচ উপভোগ করতে চায় দল। চাপে পড়ে আর ভুল করলে চলবে না। আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। আমরা আশাবাদী নক-আউট নিয়ে। আমাদের ভাল খেলতে হবে। সকলেই জানে কী করতে হবে। মানসিকভাবেও সকলে প্রস্তুত।’’
মইনের কথা অনুযায়ী, দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে কেকেআরের। সেই জায়গা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে ঘরের মাঠে পঞ্জাবকে হারাতেই হবে। সম্ভাবনা আছে কি? মইনের উত্তর, ‘‘অবশ্যই আছে। কেকেআর পারবে।’’
আকর্ষণ: ইডেনে নেটে প্রস্তুতি শুরুর আগে শ্রেয়স আয়ার। নিজস্ব চিত্র