জিআই-এর অপেক্ষায় জলভরা, নলেনগুড়
নিজস্ব সংবাদদাতা
সম্প্রতি নলেনগুড়ের সন্দেশ, কামারপুকুরের সাদা বোঁদে-সহ সাতটি পণ্য বাংলার ভৌগোলিক স্বীকৃতি (জিআই) পেয়েছে। কিন্তু এ বার অল্পের জন্য সেই তকমা হাতছাড়া হল চন্দননগরের জলভরার। তবে সূত্রের খবর, শীঘ্রই তা পেতে চলেছে এই মিষ্টি। অপেক্ষায় রয়েছে বাংলার পান, নলেনগুড়, সাবাই ঘাসের হস্তশিল্প, কৃষ্ণনগরের মাটির পুতুল, বেলিয়াতোড়ের মেচা সন্দেশ, বীরভূমের শোলার পণ্য, মুর্শিদাবাদের রেশম, নদিয়ার বেগুন-সহ প্রায় এক ডজন পণ্য।
চন্দননগরের জলভরার জিআই-এর জন্য আবেদন জানিয়েছিল স্বতন্ত্র হুগলি জেলা মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতি। সংগঠনের সম্পাদক শৈবাল মোদক বলেন, ‘‘মাঝে কিছু কারণে আমাদের একটু দেরি হয়েছে। আশা করছি মে-জুনের মধ্যেই তকমা মিলবে।’’ জিআই নিবন্ধীকরণ দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৭ জানুয়ারি এই পণ্যের স্বপক্ষে তথ্য জমা পড়ে। তিন-চার মাসের মধ্যে আপত্তি না এলে স্বীকৃতি মেলার কথা। রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চন্দননগরের মোট ৩৭টি বিপণির জলভরার জিআই তকমা পাওয়ার কথা। সে ক্ষেত্রে ওই সমস্ত বিপণির জলভরার মান এক হবে এবং একটি নির্দিষ্ট ছবি (লোগো) ব্যবহার করতে হবে। দফতর সূত্রের খবর, আগামী এক-দু’মাসের মধ্যে স্বীকৃতি পাবে নলেনগুড়ও।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরে পাশাপাশি, জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয় (এনইউজেএস), এনআইএফটি-র মতো প্রতিষ্ঠানও এই ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত। এনইউজেএস সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলার চানাচুরের জিআই স্বীকৃতির জন্যও কাজ
করছে তারা।