পহেলগামের জঙ্গিদের খোঁজে কলম্বোয় বিমানে তল্লাশি
সাবির ইবন ইউসুফ
শ্রীনগর, ৩ মে: পহেলগাম কাণ্ডে জড়িত জঙ্গিদের খোঁজে এ বার আকাশ-পাতাল তোলপাড় করে তল্লাশি অভিযান শুরু করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। কলম্বোগামী উড়ান থেকে শুরু করে শ্রীনগরের জেল— যে কোনও সূত্রের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে তারা।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগামে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পরে ১০ দিন অতিবাহিত। ২৭ এপ্রিল জম্মুতে মামলা দায়ের করে এই তদন্তের ভার নিয়েছে এনআইএ। বিভিন্ন সূত্রে নানা তথ্য মিললেও জঙ্গিরা কেউ ধরা পড়েনি। যদিও লস্কর-ই-তইবার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজ়িস্ট্যান্স ফোর্স’ হামলার দায় নিয়েছে।
সময় যত এগোচ্ছে, এই ঘটনায় পাকিস্তানের যোগ তত পোক্ত হয়েছে। এনআইএ সূত্রে ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, হামলাকারীরা সংখ্যায় পাঁচ থেকে সাত জন ছিল। তাদের সাহায্য করেছে পাকিস্তানে জঙ্গি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অন্তত দুই কাশ্মীরি। তিন জঙ্গির আঁকা ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের ধরিয়ে দিলে মাথাপিছু ২০ লক্ষ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ সকালে চেন্নাই বিমানবন্দর থেকে কলম্বোগামী একটি উড়ান রওনা হওয়ার পরে ইমেলে হুঁশিয়ারি বার্তা পান বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তাতে বলা হয়, দক্ষিণ ভারতীয় পাঁচ লস্কর জঙ্গি রয়েছে ওই উড়ানে। তারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং তাদের বিরুদ্ধে কোনও পুরনো মামলা নেই। খবর পেয়ে সক্রিয় হন নিরাপত্তাকর্মীরা। কলম্বোর বন্দরনায়েকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পরেই সেই বিমান জুড়ে তল্লাশি চলানো হয়। তবে পরে হুমকি-বার্তাটি ভুয়ো বলে
জানা যায়।
জম্মু-কাশ্মীরে গত কয়েক দিন ধরে তল্লাশি অভিযান চলছেই। এ বার জোরকদমে দেশ জুড়ে তল্লাশি শুরু করেছে এনআইএ। হামলাস্থলের কাছাকাছি একটি চিনা সংস্থার স্যাটেলাইট ফোন উদ্ধার করেছে তারা। ওই চিনা সংস্থার পণ্য ভারতে নিষিদ্ধ। তাই পাকিস্তান কিংবা অন্য দেশ ঘুরে ফোনটি জঙ্গিদের মাধ্যমে এ দেশে এসে পৌঁছয় বলে মনে করা হচ্ছে।
আজ জম্মুর জেলে বন্দি মুস্তাক ও নিসার নামে দুই জঙ্গিকে জেরা করেন তদন্তকারীরা। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে রাজৌরি জেলায় বিস্ফোরণ ও গুলি হামলায় দুই শিশু-সহ ৭ জন নিরাপরাধকে হত্যার ঘটনায় এই দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল