পহেলগাম: জিজ্ঞাসাবাদ
কাশ্মীরি সাংবাদিকদের
নিজস্ব সংবাদদাতা
শ্রীনগর, ৩ মে: গত ২২ এপ্রিল পহেলগামে পর্যটকদের উপরে জঙ্গি হামলার পর থেকে কাশ্মীরে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত
সাংবাদিকদের উপরে পুলিশি হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে।
ওই সাংবাদিকেরা কী ভাবে এই হামলার খবর করছেন, তাঁদের সমাজমাধ্যমের নানা পোস্টে কী ভাবে এই হামলার ঘটনাকে দেখা হয়েছে, কোন খবরের শিরোনামে কী লেখা হয়েছে, খবরের খুঁটিনাটি তথ্য আদতে কোথা থেকে আসছে, ঠিক কোন সময়ে খবরগুলি করা হচ্ছে, জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশের নজরে আপাতত এই বিষয়গুলি রয়েছে বলে সূত্রের খবর। পহেলগাম হত্যাকাণ্ডের পরে শ্রীনগরের অন্তত ৫ জন সাংবাদিক পুলিশের সমন পেয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে ওই সব সাংবাদিককে নানা প্রশ্ন করেছে পুলিশ। যা নিয়ে স্থানীয় সংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
২০১৯ সালে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পরেও ঠিক একই ভাবে কাশ্মীরি সাংবাদিকদের উপরে পুলিশি হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল। স্থানীয় এক বর্ষীয়ান সাংবাদিক বলেন, ‘‘২০১৯ সালেও ঠিক একই ঘটনা ঘটেছিল। তখনও বহু সাংবাদিককে নানা ভাবে হেনস্থা করা হয়েছিল। এখনকার ঘটনা ছ’বছর আগেকার সেই হেনস্থার ছবিটাকেই আবার ফিরিয়ে আনছে।’’
২০২২ সালের পর থেকে প্রায় বিলুপ্ত ‘দ্য কাশ্মীর প্রেস ক্লাব’। বর্তমানে তাই অনেক ক্ষেত্রেই ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক এবং বিভিন্ন ডিজিটাল পোর্টালের
সাংবাদিকদের উপত্যকায় কাজ করা মুশকিল হয়ে পড়ছে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় সাংবাদিকদের একটা
বড় অংশ।
তবে সাংবাদিক হেনস্থার এই ঘটনা কার্যত অস্বীকার করেছেন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের কর্তারা। তাঁদের দাবি, তদন্তের স্বার্থ এবং ভুয়ো খবর আটকাতেই এই পন্থা
নেওয়া হয়েছে। পুলিশের দাবি, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার কোনও প্রশ্নই নেই। এক পুলিশ কর্তার কথায়,
‘‘এই মুহূর্তে প্রতিটি তথ্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল। তাই আমরা তদন্তে কোনও খামতি রাখতে চাইছি না।’’