‘ইস্তফা’ কৌশল, ধারণা
শীর্ষস্থানীয় কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করে এক দিকে তিনি নিজের শক্তিকে যাচাই করে নিতে চেয়েছিলেন। পাশাপাশি এই বার্তাও অন্তর্বর্তী সরকারকে দিতে চেয়েছিলেন যে, তিনি সরবেন না। সেনার শীর্ষ এবং মধ্য পর্যায়ের নেতৃত্বের সমর্থনও যে তাঁর সঙ্গে রয়েছে, এই বার্তাও তিনি দেন। সেই সঙ্গে দ্রুত নির্বাচন করার চাপ দেওয়া শুরু করেছেন তিনি। এখন দেখার, সেই চাপ ওয়াকার কত দিন কার্যকরী ভাবে ধরে রাখতে পারেন।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, বিএনপি এখন কোন পথে হাঁটে এবং কী ভাবে দ্রুত নির্বাচনের জন্য ইউনূস সরকারকে বাধ্য করে, তার উপরেও সে দেশের ভবিষ্যৎ গতিপ্রকৃতি নির্ভর করছে। এর মধ্যেই বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঙ্গলবার সরাসরি জাতীয় সংসদের ভোট পিছনোর চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছিলেন ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে। এর পর দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বিএনপির প্রস্তাব এবং পরামর্শ উপেক্ষিত হলে, তারা অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে না-ও থাকতে পারে। চলতি বছরেই নির্বাচনের দাবিতে তারা মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে খবর।
আওয়ামী লাগের শীর্ষ সূত্র বলছে, বিএনপি মাঠে নামলে পিছন থেকে আওয়ামী লীগেরও মাঠে নামার পথ তৈরি হবে। শেষ পর্যন্ত চাপ বাড়লে যদি ইউনূস পদত্যাগে বাধ্য হন, তা হলে হয় দেশে সেনাশাসন হবে বা জরুরি অবস্থা জারি হতে পারে। বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারও দায়িত্ব নিতে পারে। আওয়ামী লীগ আশাবাদী, সে ক্ষেত্রেও দলীয় কর্মীদের উপর যে দমনপীড়নের নীতি চলছে, তা বন্ধ হবে। দলের এক শীর্ষ নেতার মতে, গত এক মাসে প্রায় ৩ হাজার লীগ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।